PMAY Scam: Cut Money না দেওয়ায় মেলেনি বাড়ি, ফের প্রকাশ্যে আবাস 'দুর্নীতি', কাঠগড়ায় কে ?
North 24 Parganas PMAY Scam: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। আর বছর পার হলেই লোকসভা নির্বাচন। ফের আবাস যোজনা ঘিরে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল দেগঙ্গায়।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। আর বছর পার হলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার মাঝে ফের মে মাসে প্রকাশ্যে আবাস দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY Scam) ঘরে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল দেগঙ্গার কুলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার কুলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বাসপাড়া বুথে ২০ জন দুঃস্থ মানুষ যারা পেপারের ছাউনি বা টালির বাড়িতে বাস করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান সদস্যের কাটমানি দিতে পারেনি বলে ২০ জন বেনিফিসারির নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা কাটমানি দিতে পেরেছে যাদের পাকা বাড়ি আছে, তারা এই ঘর পেয়েছে।এই নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত,বিডিও অফিস ও জেলা পরিষদে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি।
বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা পারুল বিবি জানান,' প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় তাঁর নাম ছিল। পঞ্চায়েত প্রধান ১০-১৫ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিল। তিনি দিতে পারেননি বলে তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। আব্দুল করিম শেখ অভিযোগ করেন,' প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম ছিল ঘর দেওয়া হবে বলা হয়েছিল কিন্তু কাটমানি দিতে পারেননি বলে তাঁর নিজস্ব জমি নেই মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে ঘরের নাম বাদ দেওয়া হয়।'
একই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ঝন্টু মন্ডল ও মোস্তফা মোল্লা। এরা বলেন, 'পঞ্চায়েত সদস্য তাদের কাছে কাটমানি চেয়েছিল দিতে পারেননি বলে তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। মোস্তফা মোল্লা ও ঝন্টু মন্ডল টিনের ছাউনি বাশের বেড়ার ঘরে বসবাস করেন। ঝড়-বৃষ্টিতে যখন তখন গৃহহীন হয়ে পড়তে পারেন। তবুও এই অসহায় মানুষগুলো কাটমানি না দিতে পারায় ঘর পাননি।' এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ দেওয়ার জন্য ঘর দিয়েছে। আর সেই ঘরের টাকা আত্মসাৎ করছে তৃণমূল। যারা কাটমানি দিতে পারবে তারা একমাত্র ঘর পাবে। কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান বিশ্বাস পাড়া এলাকায় অসহায় পরিবারের ঘরের তালিকা থেকে নাম দিয়েছে শুধুমাত্র কাটমানি দেওয়া হয়নি বলে অর্থাৎ তৃণমূল মানে কাটমানি, তৃণমূল মানে দুর্নীতি,তৃণমূল মানে গরু চোর, চাকরি চোর বিজেপির পক্ষ থেকে ধিক্কার জানাই।'
এ বিষয় নিয়ে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় বৈদ্য বলেন, 'ঘটনাটা সত্যি। এই কুড়িটি পরিবার ঘর পাওয়ার যোগ্য।তাঁদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তালিকা তৈরি করে বিডিও অফিসে পাঠিয়েছিলাম। তাঁর কোন সুরাহা মেলেনি। আর কাটমানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,' তার কাছে কোনও অভিযোগ আসেননি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবেন।'
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজী বলেন,' এ বিষয় নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে তৃণমূল গুরুত্ব দেয় না। কেন না কুৎসা করা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো, এটা বিজেপির কাজ। কর্ণাটক দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৪ এ বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।'