North 24 Parganas: বনহুগলির NILD-র পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিং? সাত মাস পরেও অধরা অভিযুক্তরা
Ragging News: যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে ইতিমধ্যে উঠেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই র্যাগিংয়ের জেরেই কি অকালে শেষ হয়ে গিয়েছিল আরও এক পড়ুয়ার জীবন?
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: যাদবপুরের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যেই এবার আরও এক পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বনহুগলির এনআইএলডি-তে কি ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে ছিল র্যাগিং? মৃত্যুর পর ৭ মাস কেটে গেলেও ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ।
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে ইতিমধ্যে উঠেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই র্যাগিংয়ের জেরেই কি অকালে শেষ হয়ে গিয়েছিল আরও এক পড়ুয়ার জীবন? যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই, সামনে আসছে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। বিহারের গয়ার বাসিন্দা প্রিয় রঞ্জন পড়তে এসেছিলেন বনহুগলির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ লোকোমোটোর ডিসঅ্যাবিলিটিজে। দ্বিতীয় বর্ষের অকুপেশনাল থেরাপির পড়ুয়া প্রিয় রঞ্জন হস্টেলের একতলার ঘরে থাকতেন। কিন্তু, গত বছর ২৮ নভেম্বর, শেষ হয়ে যায় সব। ২৯ নভেম্বর NILD-তে ছিল নবীনবরণ অনুষ্ঠান। তার আগের রাতে, ফ্রেশার্স ওয়েলকামের জন্য প্রিয় রঞ্জনকে ডাকতে গিয়েছিলেন সহপাঠীরা। বারবার ডেকে, দরজায় ধাক্কা দিয়েও সাড়া মেলেনি। হস্টেলের ঘরের দরজা ভাঙতেই দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাঁর দেহ। মৃত পড়ুয়ার দাদা প্রবীণ রঞ্জন বলেন, “আমরা ফোনে কথা বলেছিলাম ওর সঙ্গে সব ঠিকই ছিল। ওইদিন ওর খাবারের প্লেটটাও পাওয়া যায়নি। ২০ মিনিট পরে মৃত্যুর খবর এল। পুরোনো যে বিল্ডিং ছিল তার ছাদে ওঠার সিঁড়িও ছিল না। তবু সিনিয়ররা সেখানে নিয়ে যেত। মারধরের হুমকিও দিত। সব ভিডিও আছে আমাদের কাছে।’’
বন্ধুর মৃত্যুর বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদে সামিল হয় পড়ুয়ারা। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রিয় রঞ্জনের পরিবারের দাবি, মৃত্যুর কয়েকমাস আগেই NILD কর্তৃপক্ষের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানানো হয়। সূত্রের খবর তদন্ত কমিটিও গঠন করে NILD কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছিলেন ২ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বার। তদন্তে ৭ জন ছাত্র ও ১ ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, তারপরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রিয় রঞ্জনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেন তাঁরা। তাতে হাতের লেখা ওই পড়ুয়ারই কিনা, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় ওটা প্রিয়রঞ্জনেরই হাতের লেখা। ৮ জনের নামেই অভিযোগ দায়ের করেছিল। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত র্যাগিংয়ের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় পুলিশও কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: রঘুনাথগঞ্জে পরিত্যক্ত ICDS কেন্দ্রে বিস্ফোরণ, আটক ১