Madan Mitra: 'পশ্চিমবঙ্গ-ভারতের সংস্কৃতি হচ্ছে, স্ত্রীকেও পাঁচ স্বামী ভাগ করে খেতে পারেন', বেতনভাগ প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য মদনের
President Of India: মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা ৫ জনের বেতন ৭ জনের মধ্যে ভাগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের বিতর্কে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
কলকাতা: মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা ৫ জনের বেতন (salary division of midday workers) ৭ জনের মধ্যে ভাগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের বিতর্কে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA Madan Mitra) মদন মিত্র। মহাভারতে দ্রৌপদীর (droupadi) প্রসঙ্গ টেনে বললেন, 'কুন্তী বলেছিলেন, যা এনেছ ৫ ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে খাও। পশ্চিমবঙ্গ-ভারতের সংস্কৃতি হচ্ছে, স্ত্রীকেও পাঁচ স্বামী ভাগ করে খেতে পারেন।' এর পরই তোলপাড়। মহিলাদের নিয়ে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।
কী বললেন মদন মিত্র?
মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হালেই রাজ্য় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শন চলছে। হঠাতই ধরা পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুলে গিয়ে কেন্দ্রীয় দল দেখতে পায় যে মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা পাঁচ জনের বেতন সাত জন ভাগ করে নিচ্ছেন।একদিন-দুদিন নয়, গত দশ-বারো বছর ধরেই এমন চলছে। উঠে আসে সে কথা। সেই প্রেক্ষিতেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য়, 'কুন্তী বলেছিলেন, যা এনেছ ৫ ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে খাও। পশ্চিমবঙ্গ-ভারতের সংস্কৃতি হচ্ছে, স্ত্রীকেও পাঁচ স্বামী ভাগ করে খেতে পারেন।...তবে নীতিগত ভাবে আমি বলব, কেন পাঁচ জনের খাবার সাত জন খাবেন? যদিও আমাকে কেউ খাবার ভাগ করার কথা জিজ্ঞাসা করতে রাজি রয়েছি কিনা প্রশ্ন করলে বলব পুরোটা ভাগ করে খেতে রাজি রয়েছি। কারণ ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে আনন্দ রয়েছে।' স্পষ্ট না বললেও বিষয়টির মধ্যে কোনও ভুল দেখেন না মদন। তবে যে ভাবে দ্রৌপদীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বেতন ভাগের কথা বলেছেন, তার পর যারপরনাই তোলপাড় সর্বত্র। কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপিও।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া...
কামারহাটির বিধায়কের এদিনর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর কথায়, 'মহিলাদের অপমান, কুরুচিকর মন্তব্য, মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর চেহারা নিয়ে মন্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কথা বললেও ধর্ষণ-খুনের নেপথ্য়ে কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম জড়ানোর যে ধারা সেটাই ফের স্পষ্ট এতে।' প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে মদনের কথায়। গত ডিসেম্বরে অস্ত্র নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তোলেন কামারহাটির বিধায়ক। বলেন, 'কোদাল কাস্তে হাতে থাকলে বিজেপির দস্যু ডাকাতরা জমি দখল করতে পারবে না। বুথে এজেন্টই দিতে পারবে না।' উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা বিলকান্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কৃষকদের কোদাল ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিধায়কের এমন মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। এবার ফের শিরোনামে তিনি।