North 24 Parganas:কার্তুজ চোরাচালানের চেষ্টার অভিযোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে BSF-র হাতে আটক ২
BSF Arrests Two:তাজা কার্তুজ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দু'জনকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তাজা কার্তুজ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দু'জনকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে ৪১টি তাজা কার্তুজ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছিল। সেই চেষ্টাই বানচাল করলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ০৫ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি জয়ন্তীপুরের সতর্ক জওয়ানরা।
কী ভাবে উদ্ধার?
গত কাল বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। সীমা চৌকি জয়ন্তীপুরের কর্তব্যরত জওয়ানরা দেখতে পান, কাটাতারের দু'পাশে তাজা কার্তুজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তার পরই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালান তাঁরা। সেই সময়, ৪১টি কার্তুজের হদিশ মেলে। তবে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালালে সেখানে কাউকে দেখা যায়নি বলেই খবর বিএসএফ সূত্রে। এর পর জয়ন্তীপুর সীমান্ত চৌকি এলাকায় লাগানো গোপন ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। তাতেই লাগোয়া ৩৬ ঘড়িয়া গ্রাম থেকে কাটাতারের সামনে দু'জনের গতিবিধি ধরা পড়ে। বিএসএফ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দুজনের একজনের নাম গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। বয়স ৩৯ বছর। দ্বিতীয় জন, মোহাম্মদ নাজির হোসেন মুল্লা। তার বয়স ৩৭ বছর। দুজনেই ৩৬ ঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ক্যামেরায় তাদের দেখা মিলতেই বিএসএফের একটি তল্লাশি দল গিয়াসউদ্দিন মন্ডলকে তার বাড়ির কাছে থেকে আটক করে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। বিএসএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে যে, মোহাম্মদ নাজির হোসেন মোল্লার সঙ্গে এই ঘটনায় সে জড়িত ছিল। আরও জানায়, নাজিরের নির্দেশেই সে কৃষকের ছদ্মবেশে ওই এলাকায় বিএসএফ জওয়ানদের গতিবিধি সর্বক্ষণ নজরদারি করছিল। জওয়ানদের বিভ্রান্ত করার জন্য, একসময়ে সে কাটাতারের কাছে গিয়ে ঘাস কাটার ভানও করেছিল বলে দাবি।
ঠিক সেই সময়ই, নাজির একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে তাজা কার্তুজ নিয়ে কাটাতার পেরোনোর চেষ্টা করে দাবি গিয়াসউদ্দিনের। কিন্তু থলিটি কাঁটাতারের মধ্যে আটকে গিয়ে ফেটে যায়। যার ফলে সমস্ত তাজা কার্তুজ দু'পাশে ছড়িয়ে পড়ে। বিএসএফের ভয় পেয়ে এর পরই দুজনে গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। গিয়াসউদ্দিন আরও জানিয়েছে যে তারা কার্তুজগুলি সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের দেখে তারা পালিয়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে করে। এর পর মোহাম্মদ নাজির হোসেন মুল্লাকেও তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করে বিএসএফের অনুসন্ধানকারী দল। জিজ্ঞাসাবাদে সেও ঘটনার কথা স্বীকার করেছে, দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেট্রাপোল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত কার্তুজগুলিও সেখানেই পাঠিয়েছে বিএসএফ। বাহিনীর সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেই কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা নানা সমস্যায় পড়ছে।'
আরও পড়ুন:বালুরঘাটে গণনা কেন্দ্র থেকে হার্ড ডিস্ক সহ সিসি ক্যামেরা উধাও !