North 24 Pargana: কেরলে কাজে গিয়ে মৃত্য়ু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের
Migrant Workers Death: কখনও বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্থা কিংবা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ। আবার কখনও 'বাংলাদেশি' তকমা দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের উপর চড়াও হয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ।

সমীরণ পাল, বারাসাত: ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু বাঙালি শ্রমিকের। মৃতের নাম অভিজিৎ ওরফে রাজু পোদ্দার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে। খবর পাওয়ার পর থেকে নিহতের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা গোপাল রায়। তিনি ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর,শুক্রবার মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ কেরালা থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সম্ভবত রবিবার তাঁর দেহ পৌঁছনোর কথা বারাসতের বাড়িতে।
ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলায় কখনও বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্থা কিংবা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ। আবার কখনও 'বাংলাদেশি' তকমা দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের উপর চড়াও হয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। এই ধরণের অমানবিক ঘটনা বারবারই সামনে এসেছে। এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমে সরবও হয়েছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের দিকে আঙুল তুলে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করতেও ছাড়েননি তিনি। কিন্তু তার পরেও ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের হেনস্থা কিংবা মৃত্যুর ঘটনা থেমে থাকেনি। সেই আবহেই আবারও প্রকাশ্যে এল ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মৃত অভিজিতের বাড়ি বারাসতের নেতাজি পল্লীতে। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা-মা,দাদা ছাড়াও তাঁর স্ত্রী এবং এক বছরের সন্তান রয়েছে।বেশি রোজগেরের আশায় দিন পনেরো আগে তিনি কেরালায় গিয়েছিলেন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে। কেরালার তুতকুড়ি জেলার ত্রি-চন্দুর এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মন্দির নির্মাণের কাজ করছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক।কাজ করতে গিয়ে হঠাৎই পা-পিছলে তিন তলা থেকে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর।সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ঘটনার কথা জানতে পেরে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে পরিবারের মধ্যে।
কিছুদিন আগেই এবিপি আনন্দেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে রাজস্থানের জয়পুরে মৃত্যু হয়েছিল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। জয়পুরে পুরনো বাড়ি ভেঙে মৃত হয়েছিলেন ২ ও আহত ৫ জন। জয়পুরে বাড়ি ভেঙে মৃত পূর্বস্থলী বাসিন্দা ও তাঁর মেয়ের। গুরুতর জখম হয়েছিলেন সেই শ্রমিকের স্ত্রী। প্রবল বৃষ্টিতে শুক্রবার রাতে সুভাষ চক এলাকায় ভেঙে পড়ে পুরনো বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন অনেকে। বাবা ও তাঁর ৬ বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার হয় এখান থেকেই। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় কাজ না পেয়ে জয়পুরে কাজের জন্য গিয়েছিলেন মৃত শ্রমিক ও তাঁর পরিবার।






















