North 24 parganas: সাতসকালে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ল একাধিক আসবাব তৈরির দোকান
স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। শর্ট সার্কিট হওয়ায় আগুন ছড়ায় বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
সমীরণ পাল, উত্তর ২ পরগনা: কাঁচরাপাড়ার ভূতবাগান এলাকায় বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় কাঠের আসবাব তৈরির বেশ কয়েকটি দোকান। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট হওয়ায় আগুন ছড়ায় বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
গতকাল অর্থাৎ দোলের দিনেই একাধিক জায়গায় আগুন লেগেছিল। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায় সকালে। জে ডব্লু ম্যারিয়টের (JW Marriott Hotel) ২৩ তলার সার্ভার রুমে ধোঁয়া। বের করে দেওয়া হল ২০ ও ২১ তলের অতিথিদের। দমকলের (Fire Tender) ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় একঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আতঙ্ক ছড়ালেও কোনও হতাহত বা অসুস্থতার ঘটনা ঘটেনি। দোলের দিন অভিজাত হোটেলে ছিলেন অনেক অতিথি। যার মধ্যে ছিলেন বিদেশিরাও। তাই কীভাবে এমন আগুন লাগার ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ সকাল ১০ টা নাগাদ বাইপাসের ধারে অভিজাত পাঁচতারা হোটেলের ২৩ তলার সার্ভার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেই ফ্লোরে অতিথিদের পাশাপাশি উপরে-নিচের ফ্লোরগুলিতে যে অতিথিরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। পরিস্থিতি এমন যায়গায় পৌঁছয় যে হোটেলের ২০ ও ২১ তলায় যে অতিথিরা ছিলেন, তাঁদেরকে হোটেল থেকে বাইরে বের করে দিতে হয়। যার মধ্যে ছিলেন অনেক বিদেশি অতিথিও। প্রায় ঘণ্টাখানেক অভিজাত হোটেলের এয়ার কন্ডিশানিং সিস্টেম (Air Conditioning System) বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয়। পাশাপাশি গোটা হোটেলের ইলেকট্রিক সার্ভিসও বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয়েছিল।
আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হোটেলে এসে পোঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এসে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন পুলিশের আধিকারিকরা। হোটেলেরই যে অগ্নি নির্বাচন পদ্ধতি (Fire Extingusher System) ছিল, তার মাধ্যমেই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। সেখানে পৌঁছে গোটা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোলের দিনে আগুন হৃদয়পুরে। হৃদয়পুর স্টেশন (Hridaypur Station) সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে একটি বন্ধ দোকানে আজ দুপুরে আগুন (Fire) লাগে। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বাজারের মধ্যে অনেকগুলো দোকান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দমকলের দুটো ইঞ্জিন (Fire Engine) এসে আগুন আয়ত্তে আনে। এই দোকানের পাশেই বেশ কতগুলো ব্যাঙ্ক রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কীভাবে আগুন লেগেছে ? তা স্পষ্ট না হলেও আগুনে দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমনটাই দাবি। হতাহতর কোন খবর নেই।
দোলের দুপুরে বিধ্বংসী আগুন ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরের মোহনপুর থানার সূর্যপুরে একটি গেঞ্জির কারখানার আগুন লেগেছে। (Fire in Factory)। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। গেঞ্জি মূলত রং করা হয় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল তা থেকে দুপুর তিনটে নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে।