Gobardanga News: মমতার নির্দেশে মনোনয়ন তুলে নিয়েছিলেন, অসুস্থ শরীরে দলের হয়ে প্রচারও করলেন সুভাষ
Gobardanga News: স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ভাই শঙ্কর দত্তকে নিয়ে বুধবার সকালে প্রচারে নামেন সুভাষ। তিনি অসুস্থ। তাই সকলের বাড়ি যাওয়া সম্ভব ছিল না।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে আগেই তুলে নিয়েছেন মনোনয়নপত্র। এ বার আসন্ন পুরসভা নির্বাচন (WB Municipal Polls 2022) উপলক্ষে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargans News) গোবরডাঙার (Gobardanga News) প্রাক্তন পৌর প্রধান তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং জোড়াফুল শিবিরের প্রবীণ নেতা সুভাষ দত্ত (Subhash Dutta)। বুধবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের (TMC) লিফলেট বিলি করেন তিনি। জোড়াফুল পতাকা হাতে ভোট প্রার্থনা করেন সাধারণ মানুষের কাছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ভাই শঙ্কর দত্তকে নিয়ে বুধবার সকালে প্রচারে নামেন সুভাষ। তিনি অসুস্থ। তাই সকলের বাড়ি যাওয়া সম্ভব ছিল না। তা সত্ত্বেও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি বাড়িতে উপস্থিত হন তিনি। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার অনুরোধ জানান। জানান, অন্য ভোটারদের তাঁর হয়ে অনুগামীরা বার্তা পৌঁছে দেবেন।
এ নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে গোবরডাঙ্গা বিজেপি (BJP) মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘চাপ সৃষ্টি করে ওঁকে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করা হল কি না জানি না। দলীয় ব্যপার।’’ ওই ওয়ার্ডে আশিসের স্ত্রী ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় কর বিজেপি-র প্রার্থী। ঝুমাই জয়লাভ করবেন বলে দাবি আশিসের।
গোবরডাঙা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সুভাষ। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর ভাই শঙ্কর। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন শঙ্করের স্ত্রী বুলি দত্ত। সম্প্রতি দলে রদবদলের পর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শঙ্কর। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র তাঁকেই টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।
এর প্রতিবাদে সম্প্রতি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন সুভাষ। সেই হিসেবে জাম দেন মনোনয়নপত্রও। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভও উগরে দেন। জানান, যাঁরা বিজেপি এসে গিয়েছে বলে ধরে নিয়েছিলেন, তাঁদেরই আপ্যায়ন করছে দল। অথচ তাঁর মতো যাঁরা মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই করে গেলেন, তাঁদের ব্রাত্য রাখা হচ্ছে। সেই নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হলে সুভাষকে মনোনয়ন তুলে নিতে অনুরোধ জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাতেই বরফ গলে।