North 24 Parganas News: প্রেমিকার অভিযোগে বৌভাতের আসর থেকে শ্রীঘরে যুবক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিক একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। জানা গিয়েছে, প্রেমিকা এবং ওই যুবক একে অপরের প্রতিবেশী। তাঁদের দুজনের মধ্যে গত আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: প্রেমিকাকে ছেড়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন যুবক। আর প্রেমিকার অভিযোগে বৌভাতের আসর থেকে সোজা শ্রীঘরে যেতে হল যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) গাইঘাটা (Gaighata) থানার দেবীপুর (Debipur) এলাকায়।
প্রেমিকার অভিযোগ-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিক একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। জানা গিয়েছে, প্রেমিকা এবং ওই যুবক একে অপরের প্রতিবেশী। প্রেমিকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, যুবতীর সঙ্গে ওই যুবকের বছর আটেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত ঘুরতে যাওয়া, মেলামেশা করা. খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুই চলছিল। তিন মাস আগে তাঁদের সম্পর্কে ছন্দপতন হয়। যুবতী জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত যুবত তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তিনি বাবার সঙ্গী দিঘা যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, দিঘা থেকে বাড়ি ফিরেই ওই যুবক তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। এরপর প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, অভিযুক্ত শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যেই গোপনে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আর সেই মেয়েটিকেই দেবীপুরে এনে সামাজিকভাবে বিয়ে করছেন। এই ঘটনা জানার পরই গাইঘাটা থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেই অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি। প্রেমিকার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।
আরও পড়ুন - North 24 Pargana News: রক্ষকই ভক্ষক? ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে যে, তাঁরা জানতে পারেন অভিযুক্ত যুবকের শুক্রবার গোবরডাঙার একটি বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান চলছে। বৌভাতের আসর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠান হয়। প্রেমিকার আরও অভিযোগ, তিনি বলছেন, 'ও (অভিযুক্ত যুবক) আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তার ফলে দু'বার গর্ভপাতও করাতে হয় আমায়। আমি ওকে আর বিয়ে করতে চাই না। আমি চাই, ওর আইনের মাধ্যমে শাস্তি হোক। ও যাতে অন্য কারও সঙ্গে এমন কাজ আর করতে না পারে।' যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবকের বাবা। তিনি বলেন, 'ওই মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার ছেলেকে বিয়ে করতে চায় কিনা। কিন্তু ও বিয়ে করবে না জানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। মিথ্যে সহবাসের অভিযোগ তুলে ওরা আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।' ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।