Murshidabad News: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতি কার্যত হাতছাড়া তৃণমূলের !
Raninagar : যত কাণ্ড যেন মুর্শিদাবাদে। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে কম অস্থিরতা দেখা যায়নি রানিনগরে!
বড়ঞা : গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতি কার্যত হাতছাড়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের প্য়ানেলকে হারিয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির ৮টি স্থায়ী সমিতি দখল করল বিরোধীরা। পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপির জোট।
৩৮টি আসনের মধ্যে ২১টি আসন পেয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। কিন্তু, সভাপতি কে হবেন ? তা নিয়ে শুরু হওয়া গোষ্ঠী কোন্দল পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতির নির্বাচনেও গড়াল। স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে তৃণমূলের একাংশ কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। মাত্র একটি স্থায়ী সমিতি দখল করতে পেরেছে তৃণমূল। কোন্দলের জন্য জেলা নেতৃত্ব দায়ী বলে দাবি করেছেন বড়ঞা ব্লকের সহ সভাপতি। খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়কের আবার দাবি, দলের কিছু সদস্য বিরোধীদের ভোট দিয়েছেন। এনিয়ে বিরোধীদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
যত কাণ্ড যেন মুর্শিদাবাদে। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে কম অস্থিরতা দেখা যায়নি রানিনগরে! সেখানে দল ভাঙিয়ে বোর্ড গড়লেও, হাইকোর্টের নির্দেশে শেষমেশ তা স্থগিত হয়ে যায়। সেই মুর্শিদাবাদেই এবার দেখা গেল উল্টো ছবি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই হল তৃণমূলেরই! তার জেরে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি কার্যত হাতছাড়া হল শাসকদলের। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের একাংশ!
বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি মাহে আলম বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসেরে প্রতীকে জিতে যাঁরা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে নিয়ে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে যেভাবে বোর্ড গঠন করছেন, এটা আমাদের কাছে খুবই লজ্জার এবং দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক হিসাবে আদর্শ মেনে রাজনীতিটা করি। তাই আমাদের একটা মান-সম্মান বোধ রয়েছে। সেই বোধ থেকে যে পরিস্থিতি দেখলাম, তাই চলে এলাম। জেলা নেতৃত্বের ব্যক্তিগত কাউকে আক্রমণ করিনি। নেতৃত্ব কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই জিনিসটা কখনোই ঘটত না। সভাপতি সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।"
এপ্রসঙ্গে খড়গ্রামে তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, "বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন ছিল। পূর্ত ক্ষেত্রে ২টো ২৮টি ভোট পেয়ে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। লটারিতে আমরা একটা পাই, বাকি বিরোধীরা ২টো পায়। পরবর্তীতে কৃষি ও সেচ- কর্মাধ্যক্ষ সেটাতে আমরা হেরে যাই। আমাদের কয়েকজন সদস্য বেরিয়ে যান। আমরা ১৮টি, বিরোধীরা ২৮টি ভোট পেয়েছে। আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির তরফ থেকেই দুটো ভাগ হয়ে গিয়ে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।"