SSC Scam: অবশেষে জামিনে মুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গাড়ি সামনে শুয়ে পড়লেন অনুগামীরা, হাউহাউ করে কাঁদলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী
Partha Chatterjee: কেঁদেকেটে কার্যত সারা হলেন কেউ, কেউ আবার স্লোগান তুললেন। চোখে জল দেখা গেল পার্থরও।

কলকাতা: অবশেষে জামিনে মুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিন বছর তিন মাস পর জেলথেকে বেরোলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আট জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ডের পর জেলমুক্তি হল তাঁর। জেল হেফাজতে থাকলেও, শারীরিক অসুস্থতার জেরে আর এন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পার্থ। জামিন পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সেখান থেকেই বেরিয়ে আসেন। আর সেখানে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদের ভিড় কার্যত উপচে পড়ে। কেঁদেকেটে কার্যত সারা হলেন কেউ, কেউ আবার স্লোগান তুললেন। চোখে জল দেখা গেল পার্থরও। (Partha Chatterjee)
একদিন আগেই জামিনে মুক্ত হন পার্থ। শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বেরিয়ে এলেন আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে। আদালতের নির্দেশ মতো অষ্টম ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ হতেই বেরিয়ে এলেন পার্থ। তিনি আজ বেরিয়ে আসবেন বলে আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। এদিন সেখানে ভিড় করেন পার্থর অনুগামীরা। ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। (SSC Scam)
আর সেই ভিড়ের মধ্যে দিয়েই বেরিয়ে আসে পার্থর গাড়ি। গাড়ির সামনে, চালকের পাশের আসনে বসেই এদিন হাসপাতাল থেকে বেরোন পার্থ। আগাগোড়া বুকের কাছে হাত জড়ো করে রেখেছিলেন তিনি। আর তাঁকে দেখামাত্রই উচ্ছ্বাস বাঁধ ভাঙে অনুগামীদের। স্লোগান ওঠে, 'পার্থদা জিন্দাবাদ', 'জয় বাংলা'। পার্থ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন অনুগামীরা।
ওই গাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে দেখা যায়, হাউহাউ করে কাঁদছেন পার্থ। দুই চোখ বেয়ে নেমে আসছে অশ্রুধারা। অনুগামীদের দেখে হাতজোড় করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই অবস্থায় গাড়ি বেরোতে পারছিল না কার্যত। গাড়ি ছেঁকে ধরেন অনুগামীরা। কেউ কেউ শুয়ে পড়েন গাড়ির সামনে। একেবারে বুক চাপড়ে কাঁদতেও দেখা যায় অনেককে। মোটর সাইকেলে চেপে পার্থকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন অনুগামীরা। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পার্থ। এতদিন পর মুক্তি পেলেন তিনি। এদিন পার্থর সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী অভিজিৎ দত্ত। গাড়িতে ছিলেন পার্থর আইনজীবীও। হাসপাতালথেকে বেরিয়ে ইএম বাইপাস ধরে গাড়িটি। ছাড়া পাওয়ার আগে এদিনও শারীরিক পরীক্ষা হয় পার্থর। এর পর আদালত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ এসে পৌঁছয়। সব মিটলে বেরিয়ে আসেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আর এন টেগোরে ভর্তি হন পার্থ। পরে আবার ২২ এপ্রিল ভর্তি হন সেখানে। কিডনি, হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল তাঁর, ছিল সংক্রমণ।
পার্থর জামিন নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলমুক্তির অর্থ এই নয় যে তিনি অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন। জামিনের অধিকার আছে প্রত্যেক অভিযুক্তের। সেই হিসেবে আইন জামিন দিয়েছে। কিন্তু মাছ খায় যে সব পাখিটা. মাছরাঙাটাই কলঙ্কিনী, এটা তো হতে পারে না! আমরা আশা করব, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রকৃত অবস্থান জেলের বাইরে এসে বলবেন। দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। এই পাপ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একার নয়। এটা তৃণমূলের একটা সংগঠিত অপরাধ। প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ, দুর্নীতি। শিক্ষাব্যবস্থাকে খোলা বাজার বানিয়ে দেওয়া একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয়। ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'একা পার্থদার দোষ নয়। দোষ হলে আমাদের সকলের। সেই সকলের দরকার'।"






















