Durgapur Murder: 'আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল !' দুর্গাপুরে বিহারের যুবক খুনের কিনারা; মহিলা-সহ ধৃত ২
Bihar: গত বৃহস্পতিবার ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর ২৫-র ছোটন দুবের মৃতদেহ। বিহারের সাহারাণপুরের বাসিন্দা তিনি
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরে বিহারের যুবক খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পুলিশের। ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মিতন পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে দুর্গাপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর ২৫-র ছোটন দুবের মৃতদেহ। বিহারের সাহারাণপুরের বাসিন্দা তিনি। ওইদিন দুপুরে প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পান। তার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল ঘরটি। ঘটনার পর ওই যুবকের ফোনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির ভেতরে একটি দুল পাওয়া যায়। তা থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের মনে।
যুবকের ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে দুর্গাপুরের ঝান্ডাবাদের বাসিন্দা এক মহিলার খোঁজ পায় পুলিশ। বিবাহিত ওই মহিলার সঙ্গে ছোটনের সম্পর্ক ছিল গত কয়েক মাস ধরে। ওই মহিলার স্বামী পুরুলিয়ায় কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। সেই সুবাদে ওই বাড়িতে ছোটনের আসা যাওয়া ছিল মাঝেমধ্যে। ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলেন ছোটন এবং তা দিয়ে মাঝেমধ্যে ব্ল্যাকমেল করা হতো বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সাময়িক কয়েক দিনের জন্য হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে বলে এই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, সেই ভাড়াবাড়িতে মদ্যপান করিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ছোটনকে।
এই কাজে ওই মহিলাকে সাহায্য করেছিল তারই এক দাদা মিত্তন পাণ্ডে। সে কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকে এবং ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত মহিলা এবং মিতনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মালদায় মৃতদেহ উদ্ধার-
গতকাল মালদায় ঘর থেকে এক খেলনা বিক্রেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে মালদা থানার ছাতিয়ান মোড় এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে রাতের অন্ধকারে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদা থানার পুলিশ। মৃতের নাম নেপাল মণ্ডল (৪২)। তিনি মেলায় খেলনা বিক্রি করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবসর সময়ে তিনি টোটো চালাতেন। বাড়িতে একাই থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে ডাকাডাকি করেও তাঁর শব্দ পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী ভাবেন ঘুমিয়ে রয়েছেন। এরপর শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ঘরের দরজা খোলা। ঘরের মধ্যে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া নেপালের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালদা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।