Paschim Medinipur: কোথাও ঘোলা জল, কোথাও সরু সুতোর মতো ধারা, জল-সঙ্কটে নাকাল চন্দ্রকোণা
Paschim Medinipur News: চন্দ্রকোণা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে কয়েকটিতে জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: এখনও বৈশাখ আসেনি। অল্প গরম টের পাওয়া গেলেও, সেভাবে তীব্র গরম এখনও পড়েনি। কিন্তু তার মধ্যেই জল সঙ্কটের ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। চন্দ্রকোণা পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জলের সমস্যা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ চড়ছে পারদ। প্রবল গরমে জলের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু চন্দ্রকোণার ৫টি ওয়ার্ড জল সঙ্কটে ভুগছে। বাধ্য হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে সাইকেলে করে আনতে হচ্ছে জল। কখনও কখনও জল কিনতেও হচ্ছে।
কী পরিস্থিতি?
পুরসভার তরফে জলের কল আগেই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, কোথাও পুরসভার কলের জল ঘোলা আসছে। কোথাও কল থেকে সামান্য পরিমাণে জল বেরচ্ছে। আর তা নিতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে।
কোথায় সমস্যা?
চন্দ্রকোণা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। চন্দ্রকোণা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছবি পাত্র বলেন, 'কয়েকদিন ধরে জলের সমস্যা হচ্ছে। দূর থেকে আনতে হচ্ছে জল।'
কেন এমন অবস্থা?
পুরসভার চেয়ারপার্সনের দাবি, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাইপ লাইনের কাজ চলছে। তাই এখন কোথাও কোথাও অসুবিধা হচ্ছে। তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোণা পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রতিমা পাত্র বলেন, 'সব জায়গাতেই জল রয়েছে। পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে, তাই হয়ত ঘোলা জল বেরোচ্ছে। যেখানে জলের সমস্যা , সেখানে পুরসভার জলের গাড়িও পাঠানো হচ্ছে।'
জল-সঙ্কট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডকে নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতা কাশীনাথ বসু, বলেন, 'ভোটের আগে পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোট পেরোলেই ভুলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার জল প্রকল্পে বহু টাকা দিচ্ছে। সেই টাকা নষ্ট হচ্ছে।' পাল্টা তৃণমূল নেতা প্রদ্যোত্ ঘোষের দাবি, 'টাকা কোথায়? কেন্দ্র বঞ্চনা করছে। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিই, ভোটের পর হয় না, এটা মিথ্যে কথা। সমস্যা থাকলে দ্রুত মিটে যাবে।' গরম আসছে, পানীয় জলের সমস্যা কবে মিটবে? অপেক্ষায় চন্দ্রকোণা পুর এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সরকারি বোর্ড লাগানো গাড়িতে ছাগল চুরি? বেদম মার ২ জনকে