Paschim Medinipur News: ‘প্রকৃত কর্মীরা কোণঠাসা, দিলীপকে হারানোর ষড়যন্ত্র’! BJP-র মণ্ডল সভাপতি-সহ পদত্যাগী ৩১
West Bengal BJP: শুক্রবার বেলদা থানার অন্তর্গত চকবলীতে বিজেপি-র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান পদত্যাগকারীরা।
অমিত জানা, নারায়ণগড়: লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে বেকায়দায় বিজেপি। নারায়ণগড়ে পদ ছাড়লেন মণ্ডল সভাপতি-সহ ৩১ জন বিজেপি পদাধিকারী। দলীয় প্যাডে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (Paschim Medinipur News) এই ঘটনায় তোলপাড় জেলা রাজনীতি।
জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পদত্যাগকারীরা। সেই নিয়ে বেলদায় বিজেপি-র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। অভিযোগ, প্রকৃত বিজেপি কর্মীদের বাদ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। শুক্রবার রাতেই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই মতো নারায়ণগড় তিন নম্বর মণ্ডল সভাপতির সভাপতি-সহ ৩১ জন পদাধিকারী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। (West Bengal BJP)
শুক্রবার বেলদা থানার অন্তর্গত চকবলীতে বিজেপি-র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান পদত্যাগকারীরা। তাঁরা জানান, দিলীপ ঘোষকে আগামী নির্বাচনে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের ছাড়া হবে না বলে দাবি করেন তাঁরা। স্লোগান ওঠে, 'দিলীপ ঘোষকে হারানোর ষড়যন্ত্রকারীদের ছাড়ছি না, ছাড়ব না'। এর পর রাতেই পদত্যাগপত্র সুকান্তকে পাঠিয়ে দেন সকলে। হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয় বলে খবর।
পদত্যাগপত্রে বিক্ষুব্ধরা লেখেন, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নারায়ণগড় তিন নম্বর মণ্ডল ভাল ফল করেছে। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। তার পরও জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত জোর করে নিজের সিদ্ধান্ত ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। যাঁরা দলবিরোধী কাজে লিপ্ত, দিলীপ ঘোষকে নিরন্তর সমাজমাধ্যমে কটূক্তি করে যান, তৃণমূলকে জেতানোর কাজে যুক্ত, তাঁদেরকেই মণ্ডল কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। মণ্ডল সভাপতিকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আহ্বায়ক নিয়োগেরও প্রতিবাদ জানান বিক্ষুব্ধরা।
পদত্যাগকারীরা আরও জানানস বিধানসভা এবং মণ্ডল কমিটির সবকিছু একাই পরিচালনা করছেন সুদাম। তাঁর একার সিদ্ধান্তে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে সকলকে, যা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। তিন নম্বর মণ্ডলের সভাপতি তপন কুইলা বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে দখল করতে সাহায্য় করেছিল যারা, তাদের পদে বসিয়েছেন আমাদের নবনিযুক্ত সভাপতি। আমাকে সরিয়ে নতুন আহ্বায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য কাউকে খুশি করতে বিজেপি-র দীর্ঘদিনের কর্মীদের এক এক করে বাদ দেওয়া হচ্ছে। জেলা সভাপতির কাছে বিষয়টি উত্থাপিত করেও লাভ হয়নি। তাই রাজ্য সভাপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি।" এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।