Patna Hospital Incident: পাটনার হাসপাতালে শ্যুটআউট, অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ওরফে বাদশা
Patna Hospital Case: এক মহিলাকেও প্রথমে আটক করেছিল পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই মহিলা বিরাটির বাসিন্দা।

আবির দত্ত, হিন্দোল দে, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : বিহারের হাসপাতালে শ্যুটআউট, গ্রেফতার ৪। পাটনা গুলিকাণ্ডে কলকাতা থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত-সহ ৪, বিবৃতি বিহার পুলিশের। আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ওরফে বাদশা, নিশু খান-সহ ৪ জন। নিশু খানের বাসভবনে খুনের পরিকল্পনা, খবর বিহার পুলিশ সূত্রে। অপারেশনের মাথা তৌসিফ ওরফে বাদশা। বাকি সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, জানিয়েছে বিহার পুলিশ। গোটা অভিযানে প্রশংসনীয় সহায়তা কলকাতা পুলিশ ও এসটিএফের। পাটনা পুলিশকে সাহায্য়ের জন্য একটি দলও গঠন করেছিল কলকাতা পুলিশ। পাটনা গুলিকাণ্ডে কলকাতা থেকে গ্রেফতারির পর বিবৃতি বিহার পুলিশের।
খুনে ব্যবহৃত কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে তৌসিফ ওরফে বাদশা এবং অন্যান্যদের বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে আততায়ীদের, সূত্রের খবর। বাকি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুবনেশ্বরের হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার মণীশকুমার সুমন নামে আরও এক জন। বিহারে গ্যাংস্টার খুনে গ্রেফতার মোট গ্রেফতার ৫ জন, জানাল বিহার পুলিশ।
এক মহিলাকেও প্রথমে আটক করেছিল পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই মহিলা বিরাটির বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই মহিলাই আততায়ীদের আনন্দপুরের গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়েছিল। এমনকি এই মহিলা আগেও ওই এলাকায় গিয়েছিল বলে খবর। শুক্রবার আনন্দপুরের গেস্ট হাউসে উঠেছিল আততায়ীরা। ৩টে এসি রুম বুক করা হয়েছিল। মোট ৪ জন দুষ্কৃতী ছিল। ২ জন নথি দিলেও, বাকি দু'জন দেয়নি। গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ কেন তা খতিয়ে দেখেনি কিংবা পুলিশকে জানায়নি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে, থানার কাছেই নাকে দাঁড় করানো ছিল দুষ্কৃতীদের গাড়ি। অথচ পুলিশ কিছুই টের পেল না? উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে থানা থেকে মাত্র ২৮০ মিটার দূরে থাকা গেস্ট হাউসে কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে আততায়ীরা গা-ঢাকা দিল, তাই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাটনার হাসপাতালে চন্দন মিশ্র খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহারে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের নেপথ্যে অপরাধ জগতের পুরনো সঙ্গী শেরু সিংহ? চন্দন মিশ্র ও শেরু সিংহ একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। খুন, চুরি, ডাকাতির মামলায় একসঙ্গে জেলও খেটেছে। বিহারের গ্যাংস্টার শেরু সিংহ জোড়া ডাকাতির মামলায় বর্তমানে পুরুলিয়া জেলে বন্দি। শেরুর সঙ্গীদের নাম জেনে যাচ্ছিল পুলিশ, খবর বিহার এসটিএফ সূত্রে। চন্দনের সঙ্গে জেলে মারপিট ও বখরা নিয়ে গন্ডগোল শেরু সিংহের, খবর সূত্রের। গন্ডগোলের জেরে শেরুর সন্দেহের তালিকায় ছিল পুরনো সঙ্গী চন্দন, খবর সূত্রের। চন্দন মিশ্রকে খুনের জন্য তৌসিফের গ্যাংকে সুপারি দিয়েছিল শেরু, খবর সূত্রের। আনন্দপুর থেকে আটক শ্যুটার তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা। শেরুর নির্দেশেই কি খুন করেছিল তৌসিফ? জানতে চান তদন্তকারীরা।
পাটনার হাসপাতালে চন্দন মিশ্র খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দু’বার তৌসিফ রাজাকে জামিন পেতে সাহায্য করেছিল শেরু, খবর পুলিশ সূত্রে। জামিনের সূত্রে তৌসিফ রাজা ও শেরু সিংহের মধ্যে বন্ধুত্ব, খবর পুলিশ সূত্রে। চন্দন প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার কথা জেনেই খুনের ছক শেরুর, খবর সূত্রের। খুনের পরিকল্পনা অনুযায়ী তৌসিফকে খুনের সুপারি দেয় শেরু, খবর সূত্রের। পাটনার হাসপাতালে ঢুকে চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুন তৌসিফের গ্যাংয়ের।






















