(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Alipurduar: যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু আলিপুরদুয়ারে
Alipurduar News: আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর দাবি ঘিরে তরজায় জড়াল বিজেপি আর তৃণমূল। এর মধ্যে হাসিমারায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর উদ্যোগ কতটা এগোয়, সেটাই দেখার।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) জোর রাজনৈতিক তরজা (Political Tussle)। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার দাবি, হাসিমারায় (Hashimara) যাত্রীবাহী বিমানবন্দর তৈরির আর্জি জানিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যর কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
বিমান পরিষেবা-তরজা
আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর দাবি ঘিরে তরজায় জড়াল বিজেপি আর তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় অনগ্রসর কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার দাবি, হাসিমারা থেকে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর আর্জি জানিয়ে গত ১৬ জুন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
বার্লার দাবি, তার প্রেক্ষিতে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া হাসিমারা বিমানবন্দরের সিভিল এনক্লেভের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৮ একর জমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে চেয়েছে যাতে এ-৩২০ এয়ারক্রাফট নামতে পারে। হাসিমারাকে আঞ্চলিক বিমান পরিষেবা প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।'
গোটা ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা
আর এই চিঠি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল। তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, 'বার্লা কিছুদিন আগে বলেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের জন্য জমি খুঁজছেন। যেদিন বললাম জমি প্রস্তুত, সেদিন থেকে সাংসদ মন্ত্রী নিরুদ্দেশ। এখন বলছেন হাসিমারাতে যাত্রীবাহী বিমান নামাবেন। যার চিঠি এল জন বার্লার কাছে। রাজ্য সরকার জানে না, নবান্ন জানে না। রাজনৈতিক ভাবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা।'
বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার পাল্টা দাবি, 'সৌরভদাকে বলতে চাই, মানুষ আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছে ফলে তর্ক-বিতর্ক না করে কেন আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াব না। চলো না দুই ভাই মিলে যদি এয়ারপোর্ট করা যায় তাহলে মানুষ এর সুবিধা পাবে। পর্যটনের বিকাশ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হবে। কেন একে অপরের হাত ধরব না।'
এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে হাসিমারায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর উদ্যোগ কতটা এগোয়, সেটাই দেখার।