Amartya Sen: কোভিডের ধাক্কায় কুপোকাত কারা? প্রতীচির সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন অমর্ত্য সেন
Covid Situation: এই সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হবে।
![Amartya Sen: কোভিডের ধাক্কায় কুপোকাত কারা? প্রতীচির সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন অমর্ত্য সেন Pratichi Report on Covid Crisis situation, amartya sen will published it on today Amartya Sen: কোভিডের ধাক্কায় কুপোকাত কারা? প্রতীচির সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন অমর্ত্য সেন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/06/30/12f55a46efe1bcf45b4d66206542bff5_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কোভিডের সময়ে, লকডাউনে, বিভিন্ন কারণে নানাভাবে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণি। কাজ হারিয়েছিলেন বহু নাগরিক। তাঁরা কতটা সমস্যায় পড়েছিলেন? ঠিক কত জন কাজ হারিয়েছেন? খাবারটুকুও জোগাড় করতে পারেননি কতজন? এই সমস্ত তথ্য জানতে সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। আর সেটা প্রকাশ করবেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
কোভিডের ধাক্কা:
করোনা এবং লকডাউনের ধাক্কা, সবথেকে বেশি আঘাত হেনেছে গরিব মানুষের ওপর। কেউ কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন। কারও ব্যবসা পুরোপুরি বসে গিয়েছিল। মর্মান্তিক পরিস্থিতি হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। মাইলের পর মাইল হেঁটে ফিরতে হয়েছিল নিজের ঘরে। কোভিড কেড়েছে বহু প্রাণও। কোনও পরিবার একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে কার্যত অকুলপাথারে পড়েছে। সেই সঙ্কটের গভীরতা, ভয়াবহতাই ফুটে উঠেছে প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষার রিপোর্টে। এই সংস্থারই চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
কবে হয়েছিল সমীক্ষা?
দেশে যখন করোনার প্রথম ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছিল। হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছিল। কড়া লকডাউনে গ্রাম-শহরের রাস্তাঘাট যখন একেবারে ফাঁকা। সেই সময়ে শুরু হয়েছিল এই সমীক্ষা। ২০২০ সালের অগাস্ট থেকে নভেম্বর অবধি একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী ট্রাস্ট। ওই সমীক্ষায় আড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়।
কী বলা হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্টে?
- করোনা কালে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে ৮৭.৮ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন।
- বাংলা থেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৯৩.২ শতাংশই কাজ হারিয়েছিলেন।
- এরাজ্যে জব কার্ডধারীদের মধ্যে একশো দিনের কাজ পেয়েছিলেন মাত্র ৫৫ শতাংশ।
প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টে, ওই সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের ব্যাপারে, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৬ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের সাহায্য পেয়েছেন। রাজ্যে ফেরানোর ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই সময়ে সর্বাধিক ২৪০ দিন অবধি খাদ্যসঙ্কট চলেছিল। প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী ছিলেন সেই নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা, যাদের রেশন কার্ড নেই।
আজ, বৃহস্পতিবার প্রতীচী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)