Primary TET: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের দিনই প্রাথমিকের TET, সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন? তুঙ্গে তরজা
West Bengal News: ১৩ সেপ্টেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, হবে প্রাথমিকের TET। কিন্তু, পরে সেই দিন বদলে করা হয় ২৪ ডিসেম্বর।
কলকাতা: ১০ ডিসেম্বরের বদলে প্রাথমিকের টেট (Primary TET) হবে ২৪ ডিসেম্বর। যেদিন কলকাতায় গীতাপাঠের (Geeta Path) অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেরকম এক দিনে চাকরিপ্রার্থীরা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন তো? প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। পর্ষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্ক নেই। দাবি তৃণমূলের।
টেটের দিন বদলে বিতর্ক: একদিকে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি করার অভিযোগে, জেল খাটছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, অন্যদিকে যোগ্য হয়েও, চাকরি না পেয়ে বছরের পর বছর রাস্তায় কাটাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের প্রাপ্য চাকরি যখন টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তখন নিজেদের দাবি জানাতে গেলে পুলিশের ঘাড়ধাক্কা খেতে হচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। আর এই প্রেক্ষাপটেই, প্রাথমিকের TET-এর দিন পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
১৩ সেপ্টেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, হবে প্রাথমিকের TET। কিন্তু, পরে সেই দিন বদলে করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানানো হয়েছে। আর এখানেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কারণ, ২৪ ডিসেম্বরেই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গীতাপাঠের আয়োজন করেছে গীতাপাঠ কমিটি। আসার কথা নরেন্দ্র মোদির। আর প্রধানমন্ত্রীর শহরে আসা মানেই নিরাপত্তার আঁটসাঁট।শহরজুড়ে যান নিয়ন্ত্রণ। আর সেরকমটা হলে পরীক্ষার্থীরা কি সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন? আর সেটা যদি না হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে? একাধিক প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছে বিরোধীরা।
এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “টেট নেওয়ার ক্ষমতা নেই এই সরকারের। অস্বীকার করা যায় না, বাম জমানায় বছর বছর এই পরীক্ষাটা হত, আসলে ওরা এটা করতে চায় না। এটা করছে, কারণ কেউ যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে না পৌঁছতে পারে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে দোষ দেওয়া যাবে, যে তিনি আসছেন বলে পরীক্ষার্থীরা পৌঁছতে পারেননি।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “টেট-এর দিন যাতে তালগোল পাকিয়ে যায়, তার জন্য এটা করা হল। আগের বার তো একজন মারা গেলেন।’’পর্ষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে গীতাপাঠের সম্পর্ক নেই বলে দাবি কুণাল ঘোষের। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ওটা একটা শিক্ষা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, তার সঙ্গে গীতাপাঠের কী সম্পর্ক? কে আসছে, না আসছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। পর্ষদ মনে করেছে, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: WB BJP: লোকসভা ভোটে বিজেপির 'মিশন বেঙ্গল,' অনুঘটক হবে তিন রাজ্যের ফল?