Purba Bardhaman: লেলিহান আগুনের শিখার গ্রাসে দোকান, কীভাবে লাগল আগুন?
Fire Incident: হঠাৎ তীব্র বিস্ফোরণে কানে তালা লাগার জোগাড়। তার সঙ্গে লেলিহান শিখা গ্রাস করল গোটা দোকান।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: গ্যাস ওভেন সারানোর ব্যবসা। তার সঙ্গেই গ্য়াস বার্নার, সিলিন্ডারের রেগুলেটর সারানোর কাজও হতো দোকানে। তারই সঙ্গে ছিল চায়ের দোকানও। রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। বুধবার সেখানেই ঘটে গেল অঘটন। হঠাৎ তীব্র বিস্ফোরণে কানে তালা লাগার জোগাড়। তার সঙ্গে লেলিহান শিখা গ্রাস করল গোটা দোকান। বুধবার বর্ধমান (Burdwan) শহরের বড়নীলপুর এলাকার ঘটনা।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই দোকানে চা তৈরির পাশাপাশি সিলিন্ডার সংক্রান্ত নানা কাজও হতো। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই দোকানে নাকি বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরানোর কাজও হতো। সেই কারণেই ভিড় লেগে থাকত ওই দোকানে। এদিনও দেখা যায় ওই দোকানের আনাচে-কানাচে পড়ে রয়েছে একাধিক ছোট সিলিন্ডার। স্থানীয়দের দাবি, ওই দোকানে একাধিক সিলিন্ডার মজুত করেও রাখা হয়েছিল।
কীভাবে আগুন:
ওই দোকানটিতে কীভাবে আগুন লাগে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে আগুন লেগেছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও কারণ বলতে পারছেন না কেউ। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছেন, এক মহিলা একটি ছোট সিলিন্ডার নিয়ে ওই দোকানে যান। কোনও কাজের জন্য। তারপরেই হঠাৎ দেখা যায় সেই দোকানে আগুন লেগে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তারপরেই একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ আসে। মজুত থাকা সিলিন্ডার ফেটে এমন আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরে একটি ক্লাবের নীচে রয়েছে ওই দোকান। নীচের ঘরের জানলার ভিতর থেকে আগুনের হলকা বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনে বলে অভিযোগ। এরপরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দোকানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আগুন নেভানোর জন্য নিজেরাই জল দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে বাগ মানেনি আগুন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে আগুন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক মহিলা আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই অগ্নিকাণ্ডে দোকানের মালিকও নাকি আহত হয়েছেন। আহতদের একজনকে বর্ধমান শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার (Burdwan Police Station) পুলিশ।