আসানসোলে মা ও ভাইকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পন যুবকের
কী কারণে এমন নৃশংস খুন ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মা ও ভাইকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল মেজো ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের হীরাপুর থানার ইসমাইল এলাকায়। মাকে জলে ডুবিয়ে, ভাইকে গলা কেটে খুন করে অভিযুক্ত। খুনের পর হীরাপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। কী কারণে এমন নৃশংস খুন ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি পূর্ববর্ধমানে মা-কে খুন করে এক ছেলে। জানা যায়, পরিকল্পনা করেই মাকে খুন করেছিল ছেলে। আগেই খুঁড়ে রেখেছিল ঘরের মেঝে। সেখানেই ২ বছর আগে মাকে পুঁতে রাখে বর্ধমানের হটু দেওয়ানের বাসিন্দা সইদুল ইসলাম ওরফে নয়ন। মায়ের খুনে অভিযুক্ত সেই ছেলেকে নিয়ে এবার তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। বর্ধমানের হটু দেওয়ানে ছেলের ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল খুলি ও হাড়। মিলল খুনে ব্যবহৃত মুগুর। খুনের কথা ছেলে কবুল করার পর, আজ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার ঘরের মেঝে খুঁড়ে মায়ের দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণও করাবে পুলিশ। সম্প্রতি বনিবনা না হওয়ায়, সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান সইদুলের স্ত্রী। তিনিই ফাঁস করেন স্বামীর কীর্তি।
মায়ের ঘন ঘন বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না। সেই কারণে মা-কে খুনের পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে দুই বছর সেই ঘরেই বসবাস করছিল 'গুণধর' ছেলে। এই অভিযোগে গতকাল অভিযুক্ত ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতের নাম নয়ন আলি শেখ। মৃতার নাম সুকরানা বিবি(৫৮)। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ খুনের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেলপাড় এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ দিকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য বর্ধমান আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়িতে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প দখল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, শো কজ তৃণমূল নেতা