East Burdwan : মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? বর্ধমানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য
Death : মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান! চারজনের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য! মদ খাওয়ার পরই মৃত্যু বলে দাবি করেছে দু’জনের পরিবার! মৃত অপর দু’জনের পরিবারের দাবি, মৃতরা মদ খাননি! তদন্তে পুলিশ।
কমলকৃষ্ণ দে ও প্রকাশ সিংহ, বর্ধমান : একে একে ৪, বর্ধমান শহরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর মৃত্যু। ৪ জনের অস্বাভাবিক মর্মান্তিক পরিণতি। মদ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? নাকি খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু? তৈরি হয়েছে রহস্য। ৪ জনেরই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। খাস বর্ধমান শহরের বুকে এহেন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু ২ জনের, দাবি দুই পরিবারের। যাঁদের মধ্যে ভাতের হোটেলের ২ মালিক-সহ ৪ জনের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। বেআইনিভাবে মদ বিক্রি হত হোটেল থেকে, অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ, চলছে অভিযান। বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে সিল ২টি হোটেল।
ঠিক কী অভিযোগ
বৃহস্পতিবার রাতে, অসুস্থ অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় বাহির সর্বমঙ্গলার বাসিন্দা শেখ সুব্রাতি (২৫) ও শেখ হালিমকে (৪০)।কিছুক্ষণের মধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়। তারপরই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার। অভিযোগ, বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিটি রোডের ধারে একটি খাবারের হোটেল থেকে মদ কিনে খান দু’জনে। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নামে খাবারের হোটেল হলেও, সামনেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের খালি বোতল। হোটেলটিকে সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেছেন, 'গতকাল টক্সাইড অবস্থায় ২ জন ভর্তি হয়। মৃত্যু হয়। আজ সকালে আরও ২ জন ভর্তি হয়। একজন বর্ধমান মেডিক্যালে ও একজন নার্সিংহোমে। পরিবারের পক্ষ থেকে মদ খওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে কী কারণে মৃত্যু।'
উঠছে অন্য দাবিও
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিন্ময় দে ও গৌতম দে নামে দুই ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রেও প্রশ্ন ওঠে, এই দু’জনও কি মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন? যদিও মৃতদের পরিবার এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য সমর্থন চেয়ে বিজেপির দলীয় প্যাডে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি সুকান্ত-শুভেন্দুর