East Burdwan News: হঠাৎ গোখরো, আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা
Snake In East Burdwans School: স্কুলের গুদামঘরে বিষধর গোখরো। শনিবার সকালে প্রার্থনার পর হইচই পড়ে গেল পূর্ব বর্ধমানের নতুনগ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলে। পরে বনকর্মীরা এসে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: থাকার কথা ছিল পড়ুয়াদের (students)। কিন্তু একী! স্কুলে (school) কিনা ঢুকে পড়ল গোখরো (snake)? পূর্ব বর্ধমানের (east burdwan) নতুনগ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
কী হয়েছিল?
শনিবার সকালের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রার্থনা তখন সবে শেষ হয়েছে। হঠাতই দেখা যায়, গুদামঘরে একটি বিষধর গোখরো ঢুকে পড়েছে। প্রধানশিক্ষক অজিত কুমার দাস জানান, গুদামঘর লাগোয়া কলের পাশের নালার সঙ্গে একটি ডোবার সংযোগ আছে। সেই পথ ধরেই সাপটি গুদাম ঘরে চলে আসে। গোখরোর খোঁজ পেয়ে বন দফতরকে জানান প্রধানশিক্ষক। পরে সাপটি ধরে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের ধারণা, গুদামঘর লাগোয়া জায়গাটি অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন ও সঙ্কীর্ণ ছিল। সব মিলিয়ে সহজে চলে আসে সাপটি।
এখনও দক্ষিণবঙ্গে পুরোপুরি বর্ষা শুরু হয়নি। তার আগেই স্কুলের গুদামঘরে সাপের দর্শনে স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ের আবহ পড়ুয়াদের মধ্যে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। স্কুল কর্তৃপক্ষের কি আগে থেকে আরও একটু সতর্ক হওয়া উচিত ছিল না? প্রশ্ন উঠছে এর মধ্যেই। বিশেষত রাজ্যের নানা প্রান্তের স্কুলেই যখন সর্পদর্শনের অভিজ্ঞতা বিরল নয়।
অতীতেও ক্লাসঘরে সাপ
প্রসঙ্গত, এদিনের ঘটনায় বছর পাঁচেক আগেকার একটি স্মৃতি ফের টাটকা হয়ে উঠেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলের প্রায় একই ভাবে ধূপগুড়ির ঝাড় শালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে সাপ দেখতে পাওয়া যায়। চমে ওঠে পড়ুয়ারা, ভিড় জমে গ্রামবাসীদের। জানা যায়, স্কুল শুরুর আগেই চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাসে ঢুকতে গিয়ে দেখে এক বিশাল সাপ ঘোরাফেরা করছে। খবর পেয়ে দ্রুত চলে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষক। ক্লাসঘর বন্ধ করে মাঠে বসিয়েছিলেন পড়ুয়াদের। পাশাপাশি খবর দেন এক সর্প বিশারদকে।
তিনি দ্রুত সাপটি ধরে ফেলায় স্বস্তি ফেরে। পরে বন দফতরের হাতে সেটি তুলে দেওয়া হয়। লম্বায় ৬ ফুট ট্রিনকেট প্রজাতির ওই সাপ অবশ্য অল্প বিষধর, জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু আজ যে বিষধর গোখরোর খোঁজ মিলেছিল সেটি কামড়ালে কী হতে পারত ভেবে স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারছে না নতুনপাড়ার ওই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা।






















