Purba Burdwan News : তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে একশো দিনের কাজের টাকা! কালনায় অভিযোগ গ্রামবাসীদের
TMC : তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসাতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
![Purba Burdwan News : তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে একশো দিনের কাজের টাকা! কালনায় অভিযোগ গ্রামবাসীদের Purba Burdwan News Kalna 100 days money transferred to TMC Panchayat Member villegers alleged Purba Burdwan News : তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে একশো দিনের কাজের টাকা! কালনায় অভিযোগ গ্রামবাসীদের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/08/25/4575eafb8869a5d2321f798a4c1bb89c166143902249952_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
রাণা দাস, কালনা (পূর্ব বর্ধমান) : কালনায় (Kalna) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে একশো দিনের কাজের টাকা! মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। ফাঁসাতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত কর্মাধ্যক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা পরিষদ।
মিনাখাঁয় ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। আর কালনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢোকায় তৈরি হল বিতর্ক। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের উদ্দেশ্য, গ্রামের গরিব মানুষের রোজগার নিশ্চিত করা। কিন্তু, কালনার এক নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা, মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন,
কালনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মৃগাঙ্ক সেন। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সাম্মানিক টাকা পান। সমবায় সমিতির স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেখান থেকে বেতন পান। এরপর আবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসাতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা মৃগাঙ্ক সেন, 'সমবায় সমিতির একটি বেসরকারি সংস্থা তাই সেখানে কাজ করেও পঞ্চায়েত সমিতির সান্মানিক নেয়া যায়। আর ১০০ দিনের টাকা তাকে ফাঁসানোর জন্যই তার একাউন্টে ঢুকছে।' এদিকে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ও তৃণমূল (TMC) নেতা দেবু টুডু বলেছেন, 'এক জায়গা থেকে বেতন ও আরেক জায়গা থেকে সান্মানিক অর্থ তুলতে পারে না । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'
কালনা ১ নম্বরের বিডিও জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েকমাস ধরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ঘুরে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিস্তারিত কথাও বলেন। একাধিক জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে একাধিক গরমিলের তথ্য যে তারা পেয়েছেন, তেমনটাই সামনে উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় পর্যবহেক্ষক দলের নবান্নকে পাঠানো রিপোর্ট থেকে। যে রিপোর্ট দেখার পরই পঞ্চায়েত ভোটের আগে শক্ত হাতে জেলাশাসকদের দুর্নীতি রোধের বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টাকার গরমিল পেলে এফআইআরের নিদান ও দুর্নীতির টাকা আত্মসাৎ হলে সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ হলে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থাও করতে হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন- পোস্ট অফিসের পার্সেলে মাদক! অভিনব উপায়ে পাচারের চেষ্টা, গ্রেফতার ২
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)