![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
West Bengal Flood Situation: পটাশপুরে জল নামা শুরু হতেই ছড়াচ্ছে সর্দি, কাশি, পেটের রোগ
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে। যে সমস্ত এলাকা এখনও জলমগ্ন, সেখানে নৌকা করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ।
![West Bengal Flood Situation: পটাশপুরে জল নামা শুরু হতেই ছড়াচ্ছে সর্দি, কাশি, পেটের রোগ Purba Medinipur: Diseases spreading at Patashpur as water level decreasing West Bengal Flood Situation: পটাশপুরে জল নামা শুরু হতেই ছড়াচ্ছে সর্দি, কাশি, পেটের রোগ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/03/73ba67b23dde2d57242c5671911eb2ef_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে জল নামা শুরু হতেই ছড়াচ্ছে সর্দি, কাশি, পেটের রোগ। একইসঙ্গে বাড়ছে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে। জল নামার পর সেইসব এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। যে সমস্ত এলাকা এখনও জলমগ্ন, সেখানে নৌকা করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধের পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
নতুন করে আর বৃষ্টি হয়নি। বানভাসি এলাকা থেকেও ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে রোগের প্রাদুর্ভাব। পেটের অসুখ, সঙ্গে, জ্বর, সর্দি-কাশি। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের একাধিক গ্রামে এখন ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে এমনই উপসর্গ। অনেককেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। গ্রামে গ্রামে বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। এছাড়া জলমগ্ন এলাকায় নৌকা করে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শুধু যে পেটের অসুখের সমস্যা, তা-ই নয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যাও। দুর্যোগের জেরে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি। সেই সব বাড়ির ধ্বংসাবশেষ তুলতেই, বেরিয়ে আসছে সাপ, বিষাক্ত পোকা। এলাকায় প্রশাসনের তরফে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে।
পটাশপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পীযুষ পান্ডা জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছু এলাকা এখনও জলের তলায়। স্বাস্থ্য দফতর খুব তৎপর। জল নামলে অসুস্থতা বাড়তে পারে।’
পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌরাঙ্গ শীল জানিয়েছেন, ‘ওষুধ রেডি। আশাকর্মীরা ভাল কাজ করছে। সাপে কাটা রোগী বাড়ছে।’
সামনেই উৎসবের মরসুম। তার আগে দুর্যোগে বিধ্বস্ত একের পর এক গ্রাম। এর মধ্যে যদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, কীভাবে সামলে উঠবেন? উদ্বেগ-আতঙ্ক তাড়া করে বেরাচ্ছে এই মানুষগুলোকে।
অন্যদিকে, কিছুটা স্বস্তি দিয়ে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমাল দুর্গাপুর ব্যারাজ। সেচ দফতর সূত্রে খবর, আজ সকালে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। নতুন করে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সেচ দফতর।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)