Egra Incident: দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ, পঞ্চায়েত নির্বাচন কি আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে, উঠছে প্রশ্ন
Panchayat Elections 2023: শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত করানোর কথা যখন বার বার শোনা যাচ্ছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে, সেই সমই মঙ্গলবার এগরার মাটি রক্তাক্ত হল।
শিবাশিস মৌলিক, অমিত জানা ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে লন্ডভন্ড পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম (Egra Incident)। প্রাণ গেল ন'জনের। এখন থেকেই এই পরিস্থিতি হলে পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। উসকানি দিচ্ছে বিজেপি-ই (BJP) (Panchayat Elections 2023)। অভিযোগ তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত এগরা
একদিকে, শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত করানোর কথা যখন বার বার শোনা যাচ্ছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে (TMC), সেই সমই মঙ্গলবার এগরার মাটি রক্তাক্ত হল। তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনগুলিতে কী হতে পারে ভেবে শিউড়ে উঠছেন স্থানীয় লোকজনও। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, "সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। এরকম অবৈধ ব্য়বসায়ীদের যাতে হাতে রাখা যায়, তাহলে আমরা বোমা এগুলো দিয়ে যদি দখল করতে পারি... নাহলে প্রশাসনের নাকের ডগায়, এইসব ঘটনা ঘটতে থাকে, প্রশাসন জানে না? বোম তৈরি হতো।"
বিস্ফোরণ, রক্তপাত, প্রাণহানি, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরণের ভয়ঙ্কর ছবি দেখে শিউড়ে উঠছে গোটা রাজ্য়। প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে এত ভয়াবহতা কি সম্ভব আদৌ? বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কী ভাবে?
আরও পড়ুন: Egra Incident: ‘কখনও সখনও দেখা মিলত, টাকা নিয়ে চলে যেত’, এগরার ঘটনায় প্রশ্ন পুলিশের ভূমিকায়
এ বারে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ৬২ হাজার ৪০৪টি, পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৯ হাজার ৪৯৮টি এবং জেলা পরিষদের আসন ৯২৮টি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্য়া ৭২ হাজার ৮৩০। অর্থাৎ রাজসূয় যজ্ঞ। এর আগে, ২০১৮ সালে রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। সে বার লাগামছাড়া হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। এগরার ঘটনার পর, এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে কিনা, উঠছে প্রশ্ন। কারণ শুধু এগরা নয়, পিংলা, পাঁশকুড়াতেও এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। পাঁশকুড়াতেও বিস্ফোরণ হয় গত বছর।
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
এসবের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। কারণ যে খানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে স্থানীয় নেগুয়া পুলিশ ফাঁড়ির দূরত্ব ১০ কিলোমিচার। এগরা থানা রয়েছে ২০ কিলোমিটার দূরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ সবই জানত। তার পরও দেরি করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এক ঘণ্টা আগে থেকে পুলিশকে ফোন করছি, এখন এল। ওরা মান্থলি নিয়ে কারবার করেছে বলে, ধরতে আসছে না।"
শুধু পুলিশই নয়, স্থানীয় প্রশাসনও সব জানত বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। তাই এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করা হয় আইসি-কে। পুলিশকে মারধর করা হয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা। ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।