(Source: Poll of Polls)
Purulia News: শিক্ষিকা নেই, ছাত্রী ভর্তিতে মুচলেকা ঘিরে শুরু বিতর্ক
Purulia Update: উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য ঝালদা শহরে একমাত্র স্কুল, ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা না থাকায় সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: শিক্ষিকা কম থাকায় রোজ ক্লাস করানো সম্ভব নয়। একাদশে ভর্তির সময় এই মর্মে অভিভাবকদের থেকে মুচলেকা নিতে চাইছে ঝালদা (Jhalda) উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ এমনই। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কী অভিযোগ:
স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা নেই। তাই সবদিন ক্লাস (Class) করানো সম্ভব নয়। এই নিয়ে অভিভাবকদের থেকে মুচলেকা নিতে চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে, এমনই ভাবনা । পুরুলিয়ার ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ভর্তি নেব আর অভিভাবকদের সঙ্গে সমঝোতা করে মুচলেকা নিয়ে যে যখন যে ক্লাস হবে, তাদের নেব, বাকিরা বাড়িতে থাকবে। ভর্তি করে রোজ আনা-চলে যাওয়া সম্ভব নয়।' অভিযোগ, একাদশ ভর্তির জন্য ফর্মটুকুও নেই। সাদা কাগজে করতে হচ্ছে আবেদন।
এক অভিভাবক সুখেন্দু গোস্বামী বলেন, 'সাদা কাগজে বিনা ফর্মে জমা দিলাম। প্রধান শিক্ষিকা বলেন শিক্ষিকার অভাব, অনেক শিক্ষিকা না থাকায় পঠনপাঠনের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষিকা নিয়োগ না হলে সমস্যা হবে।'
কেন এমন ঘটনা?
কিন্তু এমন পরিস্থিতির কারণ কী? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগেও ৩৮ জন শিক্ষিকা ছিলেন স্কুলে। কিন্তু, বদলি-অবসরের কারণে এই মুহূর্তে শিক্ষিকার সংখ্যা ১৩-তে এসে ঠেকেছে। অবস্থা এমনই যে ইতিহাস, দর্শনের শিক্ষকই নেই। ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যেহেতু টিচার নেই, তাই ভর্তির সমস্যা হচ্ছে। ১৫০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ডিআইকে জানিয়েছি। শিক্ষিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি।' ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার ৮০০ পড়ুয়া। আর্টস ও সায়েন্স মিলিয়ে একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা প্রায় ২৫০। আর সেখানে শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র ১৩। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য ঝালদা শহরে একমাত্র স্কুল, ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা না থাকায় সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্র জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে দ্রুত শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, কবে? কতদিনে সমস্যার সমাধান হবে? সেই উত্তর নেই কারও কাছে।