Rabindra Bharati Chaos: জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের বাইরে জমায়েত, পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন উপাচার্য
Rabindra Bharati News: উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: গতকালের পর আজও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের (Rabindra Bharati Chaos) )বাইরে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির জমায়েত বিক্ষোভ। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন রাজ্যপাল নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়।
উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ দেখায় তৃৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি। উপাচার্যর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন TMCP সদস্যরা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গিরিশ পার্ক থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে যেন বিনা বাধায় ঢুকতে পারেন উপাচার্য। নির্দেশ কার্যকর করে আজকের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অস্থায়ী উপাচার্যর অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রশ্রয়েই এই ঘটনা ঘটছে।
কর্ণাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন তাঁর বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের ছাত্র এবং অধ্য়াপক সংগঠন। তারা দাবি করে, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্য়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাজকর্মে শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন। সোমবার থেকে স্লোগান-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্য়াম্পাস চত্বর। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্ল্য়াকার্ড হাতে, একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূলের অধ্য়াপক সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য়রা।
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "কোনও ব্যক্তির বিক্ষোভ দেখাতেই পারেন, কিন্তু তিনি উপাচার্য বা অন্য আধিকারিকদের প্রবেশ করতে বা বেরোতে বাধা দিতে পারেন না। নির্দেশ বাস্তবায়িত করে বুধবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।'' একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে যেন বিনা বাধায় ঢুকতে পারেন উপাচার্য তা নিশ্চিত করতে হবে গিরিশ পার্ক থানাকে।
এদিকে তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শেখ সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে FIR করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। FIR-এর প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে তাই আদালতের দ্বারস্থ হন সিরাজুল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ওই শিক্ষকের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। এই মামলায় পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছেন, 'হাওড়া স্কুলের শিক্ষক নেতা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কোনভাবেই চাকরিতে রাখা যায় না।'






















