Recruitment Scam: চাকরি বিক্রির ভুয়ো ইন্টারভিউ হয়েছিল বিকাশ ভবনেই, চার্জশিটে দাবি ইডির
ED On Charge Sheet: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ইডি-র চার্জশিট। যেখানে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডি-র চার্জশিটেই উঠে এল বিকাশ ভবনের নাম। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, চাকরি বিক্রির জন্য় ভুয়ো ইন্টারভিউ হয়েছিল বিকাশ ভবনেই। আর তার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও তাঁর সহযোগীরা।
চার্জশিটে কী দাবি ইডির?
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ইডি-র চার্জশিট। যেখানে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য। চার্জশিটের সূত্র ধরে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে গেছে বিকাশ ভবনের নাম। যা কি না রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের ঠিকানা। ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, প্রার্থীদের থেকে টাকা তোলার জন্য় ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। যার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, তাঁর তখনকার PA সুকান্ত আচার্য, OSD প্রবীর বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং তৎকালীন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী, ভুয়ো ইন্টারভিউ হয়েছিল বিকাশ ভবনেই। ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র ২০১২, ২০১৪ বা ২০১৭ নয়, ২০২২-এর টেটের নথিও পাওয়া গেছে ধৃত কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে। মোট ৫৩৬টি নথি পাওয়া গেছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই সামনে এসেছে পুর দুর্নীতির অভিযোগ অভিযোগ, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর মতো, লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে পুরসভার চাকরিও। এবার তা নিয়েই সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত ১৮ মার্চ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করার পর, অয়ন শীলের অফিসকে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
এবার ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত একাধিক হার্ডডিস্কের মধ্যে একটি থেকেই বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ১২ কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব মিলেছে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীর নাম, কোন পদে চাকরির জন্য কত টাকা নেওয়া হয়েছে, কোন পুরসভার চাকরির কথা বলা হয়েছে, এরকম যাবতীয় তথ্য রয়েছে সেই হার্ডডিস্কে। ইডি সূত্রে দাবি, এ নিয়ে অয়ন শীলকে জেরা করা হলে,তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ইডি আধিকারিকদের দাবি, অয়ন শীলের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত হার্ডডিস্কগুলির মধ্যে একটি পরীক্ষা করেই ১২ কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব মিলেছে। বাকি হার্ড ডিস্কগুলির পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে। সেই টাকা কার হাত ঘুরে কোথায় গেল, এখন সেই তথ্যই খুঁজে বের করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এমনকি অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা, যাঁরা বিভিন্ন পুরসভায় বর্তমানে কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'রাজ্যপাল খরচ করতে না করেননি, কোথায়, কীভাবে খরচ জানতে চেয়েছেন,' প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের