Primary TET Exam : প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ কী? আজ মামলার রায় ঘোষণা
Primary TET Exam Case Update: বুধবার দুপুরেই বিচারপতিরা রায় ঘোষণা করবেন, পরিষ্কার হয়ে যাবে, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি থাকবে না যাবে।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরির ভবিষ্য়ৎ কী? বুধবারই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আজ দুপুরে এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২৩ সালে এই ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। শেষ অবধি এই ৩২ হাজার চাকরি যাবে না থাকবে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে আজই।
আরও পড়ুন, 'বীরভূমে SIR-এর কাজে নিযুক্ত ১৬২ জন BLO তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ..' ! অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে BJP
নিয়োগে ব্য়াপক দুর্নীতির জেরে বাতিল হয়েছে SSC-র ২০১৬ সালের গোটা প্য়ানেল!চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার প্রার্থী। এর মধ্য়ে রয়েছেন অনেক যোগ্য় প্রার্থীও। যাঁদের অযোগ্য়দের দুর্নীতির খেসারত দিতে হয়েছে! এবার প্রশ্ন হল, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরির কী হবে? এই ৩২ হাজার চাকরি কি থাকবে, না যাবে? বুধবারই জানা যাবে সেই প্রশ্নের উত্তর। দুপুর ২ টোয় প্রাথমিকের এই নিয়োগ মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৪ সালের ‘TET’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের ১২ মে এই মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়ে তিনি আরও বলেন, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারারা।
এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে রায়ে বিচারপতিরা জানান, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে। নিয়োগের সময়সীমা ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করে ডিভিশন বেঞ্চ।রায়ের এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নতুন করে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
সেই সঙ্গে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ওই মামলা যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে শুনানির আগে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সেন। এরপর মামলা যায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে। ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়।বুধবার দুপুরেই বিচারপতিরা রায় ঘোষণা করবেন। পরিষ্কার হয়ে যাবে, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি থাকবে না যাবে।






















