Recruitment Scam: শ্বশুরের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়ে অব্যাহতি, অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ গেল পার্থর জামাইয়ের নাম
Partha Chaterjee: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামাই কল্য়াণময় ভট্টাচার্যর নাম, অভিযুক্তের তালিকা থেকে সরানোর জন্য ED-র আবেদনে মান্যতা দিয়েছে আদালত।

কলকাতা: শ্বশুরের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়ে কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) অভিযোগ থেকে অব্যাহতি জামাইয়ের। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র করা মামলায় আর অভিযুক্ত নন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, পার্থর জামিনের আবেদন করে আদালতে আইনজীবীর দাবি, জেল হাসপাতালে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ তারিখ।
কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি জামাইয়ের: শ্বশুরের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়েছেন। তাতেই কি কল্যাণ হল জামাইয়ের? পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামাই কল্য়াণময় ভট্টাচার্যর নাম, অভিযুক্তের তালিকা থেকে সরানোর জন্য ED-র আবেদনে মান্যতা দিয়েছে আদালত। ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্য়াট থেকে টাকার পাহাড় বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তারপর তদন্তে উঠে আসে তাঁর জামাই কল্য়াণময় ভট্টাচার্যর নামও। তদন্তে ED-র রেডারে আসে তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর নামে পিংলায় তৈরি হওয়া, বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, যার চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ED-র চার্জশিটে দাবি করা হয়, প্রথমে স্কুলের জমি কেনা ও পরে কনস্ট্রাকশনের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মাধ্যমে।
সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়েছেন জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। গত শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। তারপরই ED-র তরফে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তাদের বিশেষ কোর্টে আবেদন জানানো হয়, চার্জশিট থেকে অভিযুক্ত হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের নাম বাদ দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, সেই আবেদনে অনুমতি দিয়েছে আদালত। ED-র বিশেষ আদালতের রায়ের কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কল্যাণময় ভট্টাচার্য স্বেচ্ছায় রাজসাক্ষী হতে চেয়েছেন এবং তাঁর উপর কেউ প্রভাব খাটায়নি। তাঁকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজসাক্ষী হিসেবে আদালত তাঁকে যদি ক্ষমাও করে, তবু তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন না। আইনজীবীর দাবি, যে সব অভিযোগ তাঁর মক্কেলের নামে ইঠেছে, তার সাপেক্ষে প্রমাণ্য নথি তেমন দেখা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেল হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ তারিখ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
