Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের
Calcutta High Court:ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চের ৬ জুনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে জমা পড়ল রিপোর্ট
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস(Post Poll Violence 2024) নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চের ৬ জুনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে জমা পড়ল রিপোর্ট। ৬ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশের DG-কে ই মেল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন আক্রান্তরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে FIR করার নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া রিপোর্টে ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়ার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি FIR দায়ের হয়েছে, জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রিপোর্টে উল্লেখ, ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি অভিযোগের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করে কোনও অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং ১৮টি অভিযোগ ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়, রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আদালতে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ, ১৩৮টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কাজ শেষ হলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশদ...
গত ৬ জুন বিচারপতি চন্দ নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের এফআইআর দায়ের করার প্রক্রিয়া মসৃণ করতে হবে। সেই কারণেই নির্দেশে বলে দেওয়া হয়, রাজ্যের ডিজির ইমেল আইডি মামলাকারীদের দিতে হবে। সেই ইমেল আইডি-তেই সরাসরি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি মনে হয় যে এফআইআর দায়ের করার মতো অপরাধ হয়ে থাকতে পারে, তা হলে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এদিন যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে দাবি করা হয় গত ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই ইমেল আইডি-তে ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলির মধ্যে ১০৭টিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অর্থাৎ সেগুলিতে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ ছিল। বাকিগুলির মধ্যে ৯২টিতে আদালতগ্রাহ্য বা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টির ক্ষেত্রে প্রাথমিক অভিযোগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়। তবে এগুলিতে কোনও ধরনের অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি রাজ্যের রিপোর্টে। ১৮টি ক্ষেত্রে অভিযোগ ভোট-পরবর্তী হিংসার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়, ৮৮টি ক্ষেত্রে এক অভিযোগ দুবার জানানো হয়েছে। ৩টি ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর ঠিকানা নেই। ফলে সেখানে এফআইআর দায়ের করা কঠিন। ১৩৮টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কাজ শেষ হলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।