RG Kar Case : RG করে CBI ফের সেই বিল্ডিংয়ে, মিলল কীসের খোঁজ ? কোন প্রশ্নের মুখে উপাধ্যক্ষ?
R G Kar Case Investigation : সিবিআইয়ের দ্বিতীয় দলটি চলে যায় আর জি কর মেডিক্যালের ক্যাসুয়ালটি বিল্ডিংয়ে। এখানকারই চারতলার সেমিনার হলেই উদ্ধার হয়েছিল নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
ঝিলম করঞ্জাই, প্রকাশ সিন্হা , সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় ১৩ অগাস্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর কেটে গেছে ১৭টা দিন। কোন পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত? কী উঠে এসেছে তদন্তে? প্রশ্ন সকলেরই । জুনিয়র চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই সিজিও অবধি মিছিল করেছেন। প্রশ্ন তুলেছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। কেন এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায়ের পরে আর একটাও গ্রেফতারি হল না। এত দিনে কোনও দিশা কেন দেখাতে পারল না সিবিআই?
এসব প্রশ্নের মাঝেই শুক্রবার ১৪-তম দিনেও সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছন তিনি। তবে এদিনও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার থেকে যে বিস্ফোরক কিছু উঠে এসেছে বলে শোনা যায়নি।
সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চার জুনিয়র চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কলকাতায় সিবিআইয়ের আরেক অফিস নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চন্দন লৌহকেও। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে স্টল রয়েছে চন্দনের। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে গত ২৫ অগাস্ট এই চন্দনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার পাশাপাশি আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও করছে সিবিআই। এদিন জোড়া মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুটি টিম আসে আর জি কর মেডিক্যালে। বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যালে এসে মর্গ ও স্টোররুমে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আর এদিন হাসপাতালে এসেই প্রথম দলটি চলে যায় প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের প্রিন্সিপালের অফিসে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের দ্বিতীয় দলটি চলে যায় আর জি কর মেডিক্যালের ক্যাসুয়ালটি বিল্ডিংয়ে। ডেকে পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ডেপুটি সুপারকে।
এখানকারই চারতলার সেমিনার হলেই উদ্ধার হয়েছিল নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানান, 'আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে আমাদের যে সবমিলিয়ে সাতটা ফ্লোর আছে, প্রত্যেক ফ্লোরের প্ল্যান কী আছে, কতগুলো ঢোকা ও বেরনোর জায়গা আছে, কত স্কোয়ার-ফুট এলাকা এবং এখানে কী কী পরিষেবা আমরা এখানে দিতে পারি, ইত্যাদি'
এদিন এই চেষ্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে ফের স্টোরেও যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।