RG Kar Case : 'ভেঙে পড়ব না', ৯ ফ্রেব্রুয়ারি, মেয়ের জন্মদিনে সকলকে পথে নামার আর্জি অভয়ার মা-বাবার
অভয়ার জন্মদিনে মানুষকে সঠিক বিচারের দাবিতে পথে নামার আর্জি জানালেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা।

দেখতে দেখতে ৬ টি মাস পেরিয়ে যেতে চলল সেই ভয়াবহ রাতের পর। ডিউটি-হাওয়ারে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন হত হয়েছিল তাঁর কর্মক্ষেত্রে। কলকাতা শহরের বুকে প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সেই ঘটনার ৬ মাস পূর্ণ হবে। আর সেইদিনই সেই নির্যাতিতা চিকিৎসকের জন্মদিন। এই দিনটিকে মাথায় রেখেই অভয়ার জন্মদিনে মানুষকে সঠিক বিচারের দাবিতে পথে নামার আর্জি জানালেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা।
ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। সিবিআই তদন্ত করে অভয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য অপরাধের পিছনে একজনের হাত খুঁজে পেয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পেশ করা তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আরজি কর খুন ধর্ষণে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁর আজীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে। কিন্তু এই তদন্তে কোনও ভাবেই খুশি হতে পারেননি তাঁর মা - বাবা। তাঁরা প্রথম থেকেইদাবি করে আসছেন, এটা সঞ্জয় রায় নয়, তাঁদের মেয়ের এই মৃত্যুর পিছনে আছে অনেক মাথা, অনেক ষড়যন্ত্র। সিবিআই তদন্তেও তাঁরা স্বস্তি পাননি। সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। সেই মামলা হাইকোর্টে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবী।
এই পরিস্থিতিতে অভয়ার জন্মদিনে সকলকে পথে নামার আর্জি জানাল নিহত চিকিৎসক পরিবার। ভিডিও বার্তা পোস্ট করলেন সোশাল মিডিয়ায় । নির্যাতিতা চিকিৎসকের মায়ের গলায় সেই আর্তি .... 'আমরাই সেই হতভাগ্য মা-বাবা'। তিনি জানালেন গত ৯ অগাস্ট তাঁরা একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন, হারিয়েছেন তাঁর সব স্বপ্ন, সবকিছু। ৯ ফেব্রুয়ারি তাই মেয়ের জন্মদিনে তাঁরা 'বিচার না পাওয়ার' প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন। যাঁরা আগাগোড়া আরজি কর আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের সকলকে পাশে থাকার আর্জি জানালেন অভয়ার মা-বাবা। তাঁরা চান, ওই দিনটায় সরকারি, বেসরকারি, সব মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, কর্মীরা পথে নামুক। আর তাঁদের মেয়ের পছন্দ ছিল ফুলগাছ। তাই সকলে একটা করে ফুল গাছ লাগান। তিনি বললেন, 'আমরা হতাশ হব না, ভেঙে পড়ব না, বেঁচে থাকব, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব' সঠিক বিচারের দাবিতে।
অন্যদিকে, আর জি করের নিহত চিকিৎসকের পরিবারের দায়ের করা আবেদন আপাতত হাইকোর্টের মামলার তালিকার বাইরে রাখলেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন, জানালেন বিচারপতি ঘোষ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
