RG Kar Lady Doctor's Murder : ছুটতে ছুটতে CGO কমপ্লেক্সে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে 'ধাক্কা' দিয়ে CBI-এর কাছে কলকাতা পুলিশের ASI !
CBI Investigation: সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুলিশের অ্য়াসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর অনুপ দত্তকে দ্বিতীয় দিন জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
আবির দত্ত, সত্য়জিৎ বৈদ্য় ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পর ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘনিষ্ঠ ASI-কে জিজ্ঞাসাবাদ করল CBI। তাঁর ঢোকার সময় নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল CGO চত্বরে। অন্যদিকে ফের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেল CBI টিম। যদিও নিরাপত্তার কারণে এদিন আদালতে তোলা হল না ধৃত সঞ্জয় রায়কে।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে লাগাতার জেরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা পাঁচদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুলিশের অ্য়াসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর অনুপ দত্তকে দ্বিতীয় দিন জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
আর সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কী উঠে আসছে তদন্তে ? এরই মধ্যেই মঙ্গলবার CGO- কমপ্লেক্সে তৈরি হল এক নাটকীয় পরিস্থিতি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়াতে কার্যত ছুটে পালালেন কলকাতা পুলিশের অ্য়াসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর অনুপ দত্ত।
কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সংগঠন - ওয়েলফেয়ার কমিটির ছাতার নীচে ছিল ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। যে কারণে তার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেও অবাধ বিচরণ ছিল। ASI অনুপ দত্ত সেই ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য। সোমবারের পর এদিনও তাঁকে CGO-তে ডেকে পাঠিয়েছিল CBI। ধৃতের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু, এদিন তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই এভাবেই ছুটতে ছুটতে CGO কমপ্লেক্সে ঢোকেন তিনি। মাঝে দু-একবার হোঁচটও খান। এরপরও থামলেন না কলকাতা পুলিশের এই ASI। দৌড়তে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লেন।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় সঞ্জয়ের নামে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও ঘর বরাদ্দ ছিল না। তাহলে সেখানে কার ঘরে থাকত সে ? ঘটনার দিন আগে বা পরে কি তাঁর সঙ্গে ধৃত সঞ্জয়ের কথা হয়েছিল ? মূলত এই বিষয়গুলি জানতেই কলকাতা পুলিশের এই ASI-কে তলব করা হয় বলে CBI সূত্রে খবর।
অন্যদিকে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এদিন তাঁকে শিয়ালদা আদালতে তোলার কথা থাকলেও, নিরাপত্তার কারণে তা করা যায়নি বলে আদালতকে জানিয়েছে CBI. বৃহস্পতিবার হেফাজতে থাকার মেয়াদ শেষ হলে, ওই দিন তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সেদিন ঠিক হতে পারে, ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে কিনা।
আর জি কর মেডিক্যাল কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের মিছিলেও ফ্লেক্সে লেখা ছিল... সিবিআই-কে চেপে ধর...জাস্টির ফর আর জি কর...।
সিবিআই তদন্তে কি আসল সত্য় উঠে আসবে, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।