Junior Doctors Protest: পুলিশের সঙ্গে বচসা, জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগ; প্রতিবাদে অবস্থান; অবরুদ্ধ ধর্মতলা !
RG Kar Protest: জুনিয়র চিকিৎসকদের আর একটি দল যারা ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য কিছু আসবাবপত্র নিয়ে এসেছিল।
কলকাতা : SSKM থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আসার পর ওয়াই চ্যানেলে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল তাঁদের। সেই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা বেধে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলার মোড়ে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেট্রো চ্যানেলের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশের তরফে তাঁদের এই পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি ছিল বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা পুলিশকে জানান, তাঁদের কিছু কর্মসূচি রয়েছে। তাঁরা এখান থেকেই তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান। ওয়াই চ্যানেলে তাঁরা বসার কথা জানালে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। তারই মাঝে জুনিয়র চিকিৎসকদের আর একটি দল যারা ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য কিছু আসবাবপত্র নিয়ে এসেছিল। একটি গাড়িতে করে আসবাবপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই গাড়িটি পুলিশ আটকায় বলে অভিযোগ। সেখানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে বসে পড়েছেন। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ধর্মতলা।
এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, "আজ আমাদের দুটি কর্মসূচি নেওয়া ছিল। একটা, এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই ধর্মতলা অবধি একটা মিছিলের কথা ছিল। তার সঙ্গে ওয়াই চ্যানেলে সিটিং ডেমোনস্ট্রেশনের কথা ছিল। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল। আমরা মেট্রো চ্যানেলের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু, তারা সেটি দেয়নি। তার বদলে বিকল্প হিসাবে তারা আমাদের ওয়াই চ্যানেলে করতে বলেছিল। ওয়াই চ্যানেলের ওখানে আমাদের জুনিয়র ডাক্তাররা ম্যাটাডর এবং অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। মিছিলের অপেক্ষা করছিলেন। এই অবস্থায় পুলিশ এসে ম্যাটাডর চালকদের গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। তখন উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ জানান। বলেন, এটা কেন ? আমাদের কর্মসূচির কথা তো জানানো আছে। তাতে তারা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অপশব্দ ব্যবহার করেন। কার্যত তাঁদের চ্যাংদোলা করে, লাথি মেরে টানতে টানতে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই খবর জানতে পারি তখন আমরা এখানে এসে বসে পড়েছি। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের জানিয়েছি, এই ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছি। দরকার হলে তাঁরা আমাদের গুলি করে দিন। কিন্তু, জানতে চাইছে..জুনিয়র ডাক্তার...যাঁদের তাঁরা বলেছেন পাশে আছি...তাঁদের আন্দোলনের পাশে আছেন...জাস্ট দুজন একা ছিল বলে ...কলকাতা পুলিশ তখন আসল রূপ মুখোশ খুলে দেখিয়ে দিয়েছে।"