Muchipara Police Case:আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি না করে গেটে ফেলে গেল পুলিশ? প্রশ্নের মুখে মুচিপাড়া থানা
Kolkata News:আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি না করে গেটে ফেলে গেল পুলিশ? আমহার্স্ট স্ট্রিটের পরে এবার প্রশ্নের মুখে মুচিপাড়া থানা।
কলকাতা: আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি না করে গেটে ফেলে গেল পুলিশ? আমহার্স্ট স্ট্রিটের পরে এবার প্রশ্নের মুখে মুচিপাড়া থানা ( Muchipara Police Station Case)। অভিযোগ, আক্রান্ত তৃণমূলকর্মীকে (TMC Worker Injured In Muchipara) মেডিক্যালের গেটেই ফেলে গিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগ নিয়ে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কী জানা গেল?
স্থানীয়দের বক্তব্য, নবীনচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে হামলা চলেছিল ওই ব্যক্তির উপর। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, দলীয় কর্মীরাই তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল। তাঁকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পরে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই আক্রান্তকে এমার্জেন্সিতে ভর্তি না করে হাসপাতাল চত্বরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূলকর্মীকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র প্রতিক্রিয়া, 'দলেরই ভাবমূর্তি ক্ষতি হচ্ছে। হাসপাতালের কাছে ফুটেজ চেয়েছি।' কিন্তু কেন আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি না করে পালাল পুলিশ? অনেকের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পুলিশ-প্রশাসনকে মানবিক হতে বলেছিলেন। সেই তাদের বিরুদ্ধে কেন উঠছে এই ধরনের অভিযোগ? স্থানীয়দের বক্তব্য, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আশপাশে কেউ ছিল না। শুধু আক্রান্তের স্ত্রী ছিলেন বলে দাবি তাঁদের। বিশ্বরূপ দে-র বক্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে মানবিক হতে বলেছেন। আর পুলিশ এভাবে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। এ কোন পুলিশ?' তাঁর দাবি, যারা এই হামলা চালিয়েছিল, তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং যে পুলিশকর্মীরা এই ধরনের কাজ করেছেন, তাঁদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে কখনও জয়নগর-কাণ্ডে, কখনও আবার ব্যবসায়ীর রহস্য়মৃত্যুতে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।
বার বার কেন প্রশ্নের মুখে?
হালে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই মামলার শুনানি রয়েছে আজ, ২৩ নভেম্বর। তা ছাড়া, জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি জ্বালানোর ঘটনাতেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল পুলিশ। নির্যাতিত গ্রামবাসীদের অনেকে দাবি করেন, থানার আধিকারিকদের সামনেই তাঁদের বাড়ি-ঘরদোর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পর, ঠাঁইনাড়া গ্রামবাসীরা ফিরতে গেলে প্রশাসনের তরফেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে থাকা সিপিএম নেতাদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছিল, তারা গ্রামবাসীদের ঢুকতে বাধা দেয়নি। তবে রাজনৈতিক নেতাদের যেতে দেওয়া হবে না। অন্য দিকে, আমহার্স্ট স্ট্রিটের মামলায় হাইকোর্ট জানায়, খনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও পদক্ষেপ অবৈধ বলে মনে হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি আজ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y