FIR Against Suspended Doctors: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
Medinipur Medical College: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে আগেই সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছেন ১২ জন চিকিৎসক। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। ডেপুটি সিএমওএইচের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। নবান্ন আগেই ঘোষণা করেছিল এই ১২ জনের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত হবে। এবার তাঁদের নামে দায়ের হল এফআইআর- ও।
স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্বর্তী তদন্তের একটি রিপোর্ট আজ সন্ধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিএমওএইচের কাছে। এরপর ডেপুটি সিএমওএইচ কোতোয়ালি থানায় গিয়ে এফআইআর দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটার কিছু পর ডেপুটি সিএমওএইচ কোতোয়ালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার সঙ্গে দেন একটি চিঠিতে। এই চিঠির বিষয়বস্তু হল স্বাস্থ্য দফতর অন্তর্বর্তী তদন্ত করে যা খুঁজে পেয়েছে তারই খসড়া লেখা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে। যে ১২ জন সাসপেন্ড হয়েছেন তাঁদের নাম তো থাকছেই এফআইআরে, এছাড়াও আরও অনেকের নামই থাকছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসূতির মৃত্যুর কারণ হিসেবে গাফিলতির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই মর্মেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে নবান্ন। উল্লেখযোগ্য হল, এঁদের মধ্যে ৬ জন পিজিটি, অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তার। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের MSVP জয়ন্ত কুমার রাউত, RMO সোমেন দাস, চিকিৎসক দিলীপকুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিমাদ্রি নায়েক, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেন্ড হয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন মৌমিতা মণ্ডল, ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, সুশান্ত মণ্ডল, পূজা সাহা, মনীশ কুমার, এবং জাগৃতি ঘোষ। এঁরা সকলেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি বা পিজিটি স্টুডেন্ট অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তার।
সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের মধ্যে চিকিৎসক দিলীপকুমার পালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, প্রসূতির অস্ত্রোপচারের দিন সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সিজারিয়ান অপারেশন জুনিয়র ডাক্তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। আরএমও অপারেশন থিয়েটারে যানইনি। যাঁরা জানেন না তাঁরা অস্ত্রোপচার করেছেন। অপটু হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাই অঘটন ঘটেছে। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সমস্ত দায় চিকিৎসকদের উপরেই চাপিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- প্রসূতি মৃত্যুর কারণ 'সেপটিক শক', এর সঙ্গে কোন ডাক্তার অস্ত্রোপচার করছেন তার কোনও যোগ নেই
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
