(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sera Bangali 2022: 'মৌলিক গবেষণার উপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে', জোর দিলেন বিজ্ঞানে সেরা বাঙালি পার্থসারথি ঘোষ
Scientist Parthasarathi Ghosh: বিজ্ঞানক্ষেত্রে এবার সেরা বাঙালি পার্থসারথি ঘোষ। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এবিপি আনন্দের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কী বললেন বিজ্ঞানী?
কলকাতা: বিজ্ঞানক্ষেত্রে (Science) এবার সেরা বাঙালি (sera bangali) পার্থসারথি ঘোষ (parthasarathi ghosh)। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুরঞ্জন দাস। মঞ্চে ছিলেন সাহাবাবুর আদি ঢাকেশ্বরীর এমডি নিতাই সাহা। এবিপি আনন্দের (ABP ananda) সঙ্গে একান্ত (exclusive) আলাপচারিতায় কী বললেন তিনি?
কেমন লাগছে?
'সত্যি বলতে আমি অভিভূত। কারণ আমার যে কাজের ক্ষেত্র, বিজ্ঞান, তাতে জনসাধারণের মধ্যে খুব একটা স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। আজ আমাকে সে স্বীকৃতি দেওয়া হল। আমি কৃতজ্ঞ যে এই উপহার আমাকে দেওয়া হয়েছে।'
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান পড়ে গবেষণা করার অভাব অনুভব করেন?
'ইদানিং এটি হয়েছে। কারণ এখন প্রযুক্তিবিদ্যা এমন ভাবে এসেছে ও ফলিত গবেষণা এমন ভাবে ডালপালা মেলেছে যে তাতে বিপুল অর্থ। আমাদের যাঁরা নবীন, তাঁরা সেই দিকেই ঝুঁকছেন। যদিও যে কোনও দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে মৌলিক গবেষণার উপর। বিদেশে এটি হয়। বিদেশে ফলিত গবেষণার পাশাপাশি মৌলিক গবেষণাও হয়। সেই জন্য তাঁরা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন।'
আমাদের দেশ কোন জায়গায় পিছিয়ে রয়েছে যে কারণে গবেষণার দিকে এগোতে পারছে না?
'আমার মতে দুটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, আমরা বড় বেশি বিদেশিদের অনুকরণ করি। আমার গুরুদেব সত্য়েন্দ্রনাথ বসু বলেছিলেন, নিজের মতো করে বুঝে নতুন করে বলার চেষ্টা করো। ...সেটা হচ্ছে না। কারণ অন্য রকম করলেই খুব দ্রুত প্রোমোশন পাওয়া যাচ্ছে, চাকরি পাওয়া যাচ্ছে। সেটাই লোকে করছে।'
এ দেশ যাঁরা বিদেশে গবেষণা করতে গিয়ে আর ফিরছেন না, তাঁদের ধরে রাখতে হলে কী করণীয়?
'সমাজের দিক থেকে যেটা করতে হবে তা হল স্বীকৃতি। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের মাস্টারমশাইয়ের সমাজে একটা স্বীকৃতি ছিল। এখন স্বীকৃতি মানে কত টাকা রোজগার করছে। সেটা ছিল না। এখন সেটা হয়েছে। এতো একটা ব্যাপার। আর সরকারও চায় যাতে ফলিত গবেষণা কাজে লাগিয়ে তাড়াতাড়ি দেশটাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। তার মধ্যে আমি কোনও দোষ দেখছি না। এখন ঝোঁকটা সেই দিকে, এটা হতে বাধ্য। তবে আমি আশা করি, ভবিষ্যতে এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সময়ে প্রযুক্তির অভাব ছিল। যে কোনও ধরনের মৌলিক গবেষণা করা কঠিন ছিল। সি ভি রমন ব্যতিক্রম ছিলেন। তবে এখন সাধারণের ক্ষেত্রে গবেষণাকে আকর্ষণীয় করতে গেলে প্রযুক্তির জোরাল ভিত তৈরি করা দরকার। আমি আশাবাদী সেটি হবে।'
আরও পড়ুন:'সিনেমাটা আমার-মিঠুনদার উপরেই ছেড়ে দিন,' কুণালকে পাল্টা দেব