Ram Mandir Inauguration: 'সব ক্ষেত্রে দখল করতে যাওয়াটা উন্মাদের লক্ষণ' সমালোচনায় সরব পুরীর শঙ্করাচার্য
South 24 Parganas: লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালাকে প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা ঘিরে অযোধ্যা জুড়ে এখন সাজো সাজো রব।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অযোধ্যায় যাচ্ছেন না পুরীর শঙ্করাচার্য। গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela 2024) আজ একথা জানিয়ে দিলেন নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে দখল করতে যাওয়াটা উন্মাদের লক্ষণ।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালাকে প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা ঘিরে অযোধ্যা জুড়ে এখন সাজো সাজো রব। লোকসভা ভোটের আগে, নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে রামমন্দিরের উদ্বোধনের উন্মাদনা গোটা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ করা হয়েছে একঝাঁক বলিউড তারকাকে। কিন্তু তার আগে, রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক কিছু কম হচ্ছে না। বিরোধী দলগুলোর দাবি, ভগবান রাম হচ্ছেন আস্থার প্রতীক, ভক্তির প্রতীক। কিন্তু মন্দির সম্পূর্ণ তৈরির আগেই, তড়িঘড়ি লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে তার উদ্বোধন করানোকে ভোটের রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন একাধিক বিরোধী দলের নেতা। কংগ্রেস, সিপিএম-সহ একাধিক বিরোধী দল রাম মন্দিরের উদ্বোধনে না যাওয়ার কথা জানিয়েছে। কারণ, তাদের মতে, এর মধ্যে গোটা অনুষ্ঠানকে বিজেপি আর আরএসএস ভোটের প্রচার হিসেবে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ভক্তি কম, রাজনীতি অনেক বেশি আছে।
কী বললেন শঙ্করাচার্য?
এবার এই একই সুর শোনা গেল পুরীর শঙ্করাচার্য, নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর গলাতেও। তিনি বলেন, “শ্রী রাম যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত হোন, এটা আবশ্যক। তবে শাস্ত্রসম্মতভাবে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই তাঁর প্রতিষ্ঠা হোক, এটাও আবশ্যক। নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ পালন করাই রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। তা না করে, নিজের নাম প্রচারের প্রয়াস করার অর্থ ভগবানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। ওঁর দায়িত্ব সংবিধানের মধ্যে থেকে ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক বিধি পালন করা। সব ক্ষেত্রে দখল করতে যাওয়াটা উন্মাদের লক্ষণ। ভারতীয় সংবিধানের দৃষ্টিতেও এটা একটা জঘন্য অপরাধ। আমি মাঝেই মধ্যে অযোধ্য়ায় যাই। কিন্তু ২২ জানুয়ারি আমার অযোধ্যায় যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।’’
দেশের চার শঙ্করাচার্য হলেন- পুরীর নিশ্চলানন্দ সরস্বতী, উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ্পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী,কর্ণাটকের শ্রিঙ্গেরি শার্দ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী ভারতী তীর্থ এবং দ্বারকার সারদাপীঠের স্বামী সদানন্দ সরস্বতী। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ্পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীকে উদ্ধৃত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে,২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারজন শঙ্করাচার্য উপস্থিত থাকবেন না। অন্যদিকে, বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, চারজনের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন অনন্ত দু'জন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Birbhum News: কোপাই নদীর বুক কংক্রিটের পিলার, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে শুরু প্রতিবাদ