Shuttlecock: মুখ্যমন্ত্রীর হাঁসের খামার তৈরির আশ্বাসে আশার আলো, খুশির হাওয়া হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়
Howrah News:হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, “যেখানে শাটল ককের ক্লাস্টার আছে, তার আশেপাশে একটা হাঁসের খামার করে দাও। তাহলে তো দুয়ারে পালক হয়ে যাবে।’’
সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া: হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় (Uluberai) শাটল কক (Shuttlecock) তৈরির শিল্পতালুকের আশেপাশে, হাঁসের খামার তৈরির আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)। এর ফলে, খুশি উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। এর ফলে, শাটল ক্লক তৈরির কাঁচামাল সহজলভ্য হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
হাওড়ার (Howrah) শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, “যেখানে শাটল ককের ক্লাস্টার আছে, তার আশেপাশে একটা হাঁসের খামার করে দাও। তাহলে তো দুয়ারে পালক হয়ে যাবে।’’ বৃহস্পতিবার, হাওড়ার শরৎসদনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে খুশি উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় শাটল কক তৈরির ক্লাস্টার বা শিল্পতালুক রয়েছে। এখানেই, তৈরি হয় ব্যাডমিন্টনের (Badminton) শাটল কক (Shuttlecock)। বাণীবন, পীরপুর, বৃন্দাবনপুর, যদুরবেড়িয়া, রাজাপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এই কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: West Midnapore: নয়াচরকে হলদিয়া পুরসভার অন্তর্ভূক্ত করতে চেয়ে প্রস্তাব সরকারকে
এই অবস্থায়, শাটল কক ক্লাস্টারের আশপাশে, হাঁসের খামার তৈরি করার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, আশার আলো দেখছেন কারখানার কর্মী থেকে মালিকরা। শাটল কক কারখানার কর্মী বাপ্পা অধিকারী থেকে রাম পাল, উলুবেড়িয়ায় তৈরি শাটল কক, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু, কাঁচামালের অভাবে বর্তমানে ধুঁকছে এই শিল্প। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি, বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে হাঁসের সাদা পালক আসত। কিন্তু, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসছে না। আর, হুগলি (Hooghly), মেদিনীপুর (Midnapore), বর্ধমান (Burdwan) থেকে যে কাঁচামাল পাওয়া যাচ্ছে, তারও দাম আকাশছোঁয়া বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এর আগে ওই হাওড়ার ওই বৈঠক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশফুল দিয়ে বালিশ, বালাপোশ করার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, "আমার আরেকটা আইডিয়া আছে, এই যে কাশফুল হয় বাংলায়। পুজোর একমাস আগে থেকে দেখতে পাওয়া যায়। পুজোর একমাস পর উড়ে চলে যায়। এই কাশফুলকে যদি টেকনিক্যালি, কেমিক্যালি...কী দিতে হবে আমি জানি না, সেটা রিসার্চ করে দেখে আমরা বালিশ, বালাপোশ ওইগুলি তৈরি হতে পারে দারুণ ভালভাবে। যাঁদের আর্থিক ক্ষমতা আছে তারা কিন্তু এইগুলি কিনবেন। সুতরাং ওই কাশফুল কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা দেখা উচিত। এটা আসে, চলে যায়। যেমন গাছের পাতা থেকে অনেক ওষুধ হয়,তেমন কাশফুল কিন্তু অনেক কাজে লাগবে। যেমন হাঁসের পালক ছাড়াও মুরগির পালক দিয়েও কর্ক বানানোর কথা ভাবা যেতে পারে।"