Kolkata Accident: খিদিরপুরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর, পাশে থাকার আশ্বাস
Kolkata: শনিবার রাতে খিদিরপুরের বাবুবাজারে কাঁটাপুকুর রোডে, পোর্ট ট্রাস্টের এই রাস্তায়, সারের বস্তা বোঝাই লরি উল্টে যায়, তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রামের ছেলে, রামকিঙ্কর রামের গাড়ির ওপর।

অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: খিদিরপুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় (Khidirpur Road Accident) মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) ছেলের। গতকাল অর্থাৎ সোমবার মৃতের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ঘটনায় এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে (Junior Engineer) সাসপেন্ড করেছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট (Kolkata Port Trust)। শোকজ করা হয়েছে, এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
দুর্ঘটনাকাণ্ডে সাসপেন্ড আধিকারিক
পুত্রশোক সামলে উঠতে পারছেন না কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রাম। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ৩৮ বছরের তরতাজা ছেলেটার এভাবে চলে যাওয়া।
শনিবার, খিদিরপুরে, বিপজ্জনক রাস্তায়, ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে, স্থানীয় কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রামের ছেলের। সোমবার, তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি।
কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রাম বলেন, 'পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।' শনিবার রাতে খিদিরপুরের বাবুবাজারে কাঁটাপুকুর রোডে, পোর্ট ট্রাস্টের এই রাস্তায়, সারের বস্তা বোঝাই লরি উল্টে যায়, তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রামের ছেলে, রামকিঙ্কর রামের গাড়ির ওপর। তাল গোল পাকিয়ে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায় গাড়িটি।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে লরি উল্টে পড়ার ভয়াবহ মুহূর্ত। গাড়ির দরজা কেটে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেকে উদ্ধার করে SSKM’এ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন।
রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত। তাতে জল জমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। বোঝা যাচ্ছিল না গর্ত কতটা গভীর। তার ওপর রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো নেই। এই রাস্তায় দুর্ঘটনার জন্য পোর্ট ট্রাস্টকেই দায়ী করছেন সদ্য সন্তান হারানো বাবা।
তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রামের অভিযোগ, 'পোর্টই দায়ী। কেন গাড়ির ড্রাইভার যে ওই ভুলটা করল! অথরিটি যাঁরা আছে, আমার বিষয়ে চিন্তা করুক। কমপ্লিট ড্রেনেজ না করলে রাস্তা থাকবে না। ড্রেনেজ লাইট না থাকলে প্রাণ যাবেই। আমার ছেলে গেছে বলে না, সবার জন্যই।'
পোর্ট ট্রাস্টের বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা। তৃণমূল কাউন্সিলর-পুত্রের মৃত্যু। এই ঘটনায়, এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। শোকজ করা হয়েছে, এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
সোমবার দেখা গেল, রাস্তার বড় বড় গর্তের মধ্যে ফেলা হচ্ছে মাটি। ভরাট করা হচ্ছে খানাখন্দ। বন্দরের রাস্তা দিয়ে ভারী যান চলে। এই রাস্তা সেই ভার বহন করতে পারে না। তাই রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়। দুর্ঘটনা বাড়ে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, 'এখান দিয়ে কোনও পাইপলাইন যায়নি। রাস্তা ভাঙাভাঙি করা হয়নি। এটা সারানোর দায়িত্ব পোর্টের। তাড়াতাড়ি করতে হবে। সেন্ট্রালের সব কাজই ধীরে চলে। ১ বছর আগে আরেকজন মারা গেছে। পোর্ট এলাকায় এত ভারী যান চলাচল। এরোপ্লেন যায়। লোড নিতে পারে এমন রাস্তা বানাতে হবে। ন্যাশানাল হাইওয়ের মতো।'
আরও পড়ুন: BJP: রাজারহাটের বিলাসবহুল রিসর্টে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, 'সব টিমকে ইনসপেকশন করিয়েছি। বৈঠক করছি আজকে। পোর্ট ট্রাস্টের রাস্তায় ইঞ্জিনিয়রের নম্বর দেওয়া বোর্ড থাকবে। কোথাও সমস্যা হলে ফোন করবেন। রাস্তায় নজরদারি চালাই। নির্দিষ্ট রিসার্চ টিমের ভিত্তিতে দেখি। ফিরহাদ হাকিম যা বলেছেন, তা করার চেষ্টা করব। রাস্তার ওপর আমাদের নজরদারি থাকে। আর কোথাও পাইপলাইনের কাজ হয়েছে কিনা দেখছি।'
পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ পুরসভাকে শহরের খারাপ রাস্তাগুলির একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই লিস্টে ছিল নাম রয়েছে পোর্ট ট্রাস্টের একাধিক রাস্তার। পোর্ট ট্রাস্ট সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রাস্তায় বসানো হবে পেভার ব্লক।






















