Sonarpur Murder: চাকরিরত মা-বাবা শিশুকন্যাকে রাখে দাদু-দিদার কাছে! সেখান থেকেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
শিশু কন্যার দিদার দাবি, গতকাল নাতনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে দেখতে পান তিনি। এরপরই প্রতিবেশীদের ডাকা হয়।

রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরে ৫ বছরের শিশু কন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনায় পাকড়াও করা হয়ছে তার দাদু-দিদা এবং পরিচারিকাকে। মৃতার নাম প্রত্যুষা কর্মকার। বাবা-মা দু'জনেই চাকরি করায় দাদু, দিদার কাছে থাকত সে।
শিশু কন্যার দিদার দাবি, গতকাল নাতনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে দেখতে পান তিনি। এরপরই প্রতিবেশীদের ডাকা হয়। শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশু কন্যার দেহে একাধিক জায়গায় সরু কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করার দাগ রয়েছে। শিশুকন্য়ার বাবার অভিযোগেরর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, যখন এই কাণ্ড ঘটে, তখন ঘরে প্রত্যুষার দাদু-দিদা ও পরিচারিকা মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই কি কেউ খুন করেছেন? নাকি অন্য কোনওভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রত্যুষার? যদিও তার সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন খুনের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন, প্রত্যুষার দেহ মেঝেতে পড়ে আছে, চারপাশে চাপচাপ রক্ত! এমন শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য দেখে তাঁরা খবর দেন সোনারপুর থানায়। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তাঁরা তড়িঘড়ি শিশুটিকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক প্রত্যুষাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।






















