Sonarpur News: সোনারপুরের বরফ কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক, গুরুতর আহত ১
Sonarpur Factory Gas Leak: ভরা উৎসবের মরশুমে মর্মান্তিক ঘটনা সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েত ভগবানপুর এলাকায়।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুর (Sonarpur) ব্লকের খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েত ভগবানপুর এলাকায় একটি বরফ কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে বিপত্তি। ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও দমকল।এরপরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নেমে পড়ে দমকল। তবে বিষাক্ত গ্যাস লিক করার ফলে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
আগেও বহুবার গ্যাস লিক রাজ্যের বুকে
চলতি বছরের মার্চ মাসে, হুগলিতে হিমঘর থেকে লিক করে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল (Amonea Gas Leak)। তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল গ্যাসের তীব্রতা। ধনিয়াখালির দশঘড়া এলাকায় যে ঘটনায় তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল ধনিয়াখালি থানার পুলিশ (Dhanikhali Police Station) ও দমকল বাহিনী। হিমঘরটি যে এলাকায় সেখানকার স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দাকে এলাকা থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তীব্র গন্ধের জেরে শ্বাসকষ্ট
দোলের দিন সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটেছিল। ধনিয়াখালির দশঘড়া এলাকার স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজ তথা হিমঘর থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রবলভাবে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তীব্র ঝাঁঝালো এক গন্ধ পেয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই এলাকা দিয়ে হাঁটাচলার করার মাঝে তীব্র গন্ধের জেরে শ্বাসকষ্টও অনুভব করছিলেন। যদিও কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন, রাত পেরোলেই IAS জ্যোতিষ্মানকে ফের তলব, নাম না করেই রাজ্যপাল বললেন...
মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়িতেও
এর ঠিক পরের মাসেই জলপাইগুড়িতে ঘটে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা।জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় গ্যাস লিক করে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছিল, ওই হিমঘরে প্রায় আড়াই লক্ষ বস্তা আলু মজুত ছিল। সেগুলি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ারই কথা ছিল। তার আগেই সন্ধেয় ভেঙে পড়েছিল হিমঘরের মাঝের অংশ। বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরেই একাংশ ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। তাই হিমঘরটি বিপজ্জনক ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো আলুর বস্তা সরানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ওই ঘটনা ঘটে যায়। হিমঘরের অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।