Patharpratima Tiger Roaming Around: ইতিউতি পায়ের ছাপ, পুকুরে নেমে জলপান, চার মাস ধরে বাঘের আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায়
South 24 Parganas News: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় বাঘের আতঙ্ক।
গৌতম মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা: একদিন বা দু'দিন নয়, দীর্ঘ চার মাস ধরে বাঘের আতঙ্ক। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন পাথরপ্রতিমার বাসিন্দারা। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও হদিশ মেলেনি ডোরাকাটার। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় তাই পদক্ষেপ করল বন দফতর। পুলিশ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে দিনভর তল্লাশি চলল জঙ্গলে। বাঘের খোঁজ পেতে বসানো হল ট্র্যাপ ক্যামেরা। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে ফেলার কথাও জানানো হল। (Patharpratima Tiger Roaming Around)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় বাঘের আতঙ্ক। সেখানকার উপেন্দ্রনগরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাঘের ভয়ে গত চার মাস ধরে কাবু তাঁরা। নদীর বাঁধ এবং চাষের জমিতে একাধিক বার বাঘের টাটকা পায়ের ছাপের দর্শন পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয় সামনে থেকে বাঘকে চাক্ষুষও করেছেন কেউ কেউ, দাবি স্থানীয়দের। (South 24 Parganas News)
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লোকালয়ে ঢুকে মানুষের ব্যবহৃত পুকুরে নেমে জলও খেতে দেখা গিয়েছে বাঘকে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কোথা দিয়ে বাঘের আগমন ঘটে, কোথা দিয়ে পালায়, তা জানা যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও হদিশ পাওয়া যায়নি তার। তাই কখন, কী ঘটে যায়, সেই ভেবে আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: Howrah Panchla Protest : শাহজাহানের পর খলিল! এবার লাঠি হাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে পাঁচলার মহিলারা
এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরনোর সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। জীবন-জীবিকাও সঙ্কটে। তাতেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে বন দফতর-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়। অবিলম্বে বাঘের আতঙ্ক দূর করতে জানানো হয়েছিল আবেদন। সেই দাবি মেনেই চলতি সপ্তাহে উপেন্দ্রনগর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়, যাতে বাঘের গতিবিধি ধরা পড়ে।
তার পরেও যদিও নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা।সেই পরিস্থিতিতে সোমবার বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জ, গোবর্ধনপুর উপকূল থানা এবং গ্রামবাসীরা সম্মিলিত ভাবে বাঘএর খোঁজে তল্লাশি চালান। বাঁশ, লাঠি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকে তল্লাশি চলে। কিন্তু দিনভর জঙ্গল চষে ফেললেও, বাঘের দেখা মেলেনি। তবে বন দফতরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। নতুন করে বাঘের পায়ের ছাপ চোখে পড়লে, বনকর্মীরা পৌঁছে যাবেন। তবে চার মাসে যখন কিছু হয়নি, আদৌ কী সুরাহা হবে, সেই নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। আতঙ্ক কাটছে না তাঁদের।