SSC Case: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ! সরকার যোগ্য-অযোগ্যদের স্পষ্টই করতে পারল না ? ছেলেমেয়েগুলোর কী হবে ?
SSC Recruitment Scam: সরকারের অপদার্থতার জন্য এই সমস্ত চাকরিজীবীদের চাকরি চলে গেল। ছেলেমেয়েগুলোর কী হবে? ওঁদের টাকা ফেরত দিতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের মুখ পুড়ল, বলছেন সুজন চক্রবর্তী।

SSC Case: হাইকোর্টের রায় বহাল, SSC-র ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল। বাতিল হল ২৫,৭৫২ জনের চাকরি। নিয়োগে ব্যাপক পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এখানে এসেছিলেন, তাঁরা পুরানো জায়গায় যোগদান করতে পারবেন। ফের চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। ৩ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। চাকরি থাকল ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের।
২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করল সর্বোচ্চ আদালত। শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকল। কলকাতা হাইকোর্টের গত বছরের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এই চাকরিতে এসেছিলেন তাঁরা ৩ মাসের মধ্যে পুরনো জায়গায় যোগদান করতে পারবেন। ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস ছাড়া বাকি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা কাজ করতে পারবেন না। তবে তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, ফৌজদারি মামলার ওপর এর প্রভাব পড়বে না।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, 'এক বছর লেগে গেল, সরকার যোগ্য, অযোগ্য স্পষ্ট করতে পারল না? কত টাকা খেয়েছে? হাজার হাজার ছেলেমেয়ের জীবন ধ্বংস করছে কেন? কিছু অযোগ্য, অপদার্থ, যাদের টাকা নিয়ে চাকরিতে ঢুকিয়েছে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল, তাদের রক্ষা করতে গিয়ে, যাঁরা যোগ্য তাঁদের খারিজ করতে হল। সরকার অযোগ্যদের পাশে দাঁড়াল। যোগ্যদের পাশে দাঁড়াল না। অযোগ্যদের বাতিল করার মনোভাব দেখাল না। সরকারের অপদার্থতার জন্য এই সমস্ত চাকরিজীবীদের চাকরি চলে গেল। ছেলেমেয়েগুলোর কী হবে? ওঁদের টাকা ফেরত দিতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের মুখ পুড়ল'।
বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, 'মহামান্য আদালতের রায়ের পর পশ্চিমবঙ্গে যে অরাজক অবস্থা তৈরি হবে, কতগুলো পরিবার চূড়ান্ত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে, তার জন্য দায়ী কে? দায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের লোভ, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ, দায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের চাকরি বিক্রির প্রক্রিয়া। আমরা প্রথম থেকেই বলেছি অযোগ্যদের চাকরি যাক। কিন্তু যাঁরা যোগ্য, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরা এদের পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেলেন। তাঁদের চাকরি যেন থাকে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতি তৈরি হল, স্কুল শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেল, শুধুমাত্র তৃণমূলের জন্য।'
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, 'এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে, ঐতিহাসিক কালো দিন হিসেবে লেখা থাকবে। তৃণমূল সরকারের সুপ্রিমো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি চলে গেল। এর মধ্যে তো যারা ঘুষ দিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তারাও ছিলেন। যাঁরা ঘুষ দেননি, তাঁরাও ছিলেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হল?'
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'যাঁরা যোগ্য, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি চলে গেল শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির লোক, অর্থাৎ যারা অযোগ্য, টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল, তাদের চাকরি বাঁচাতে গিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ২৬ হাজার লোকের চাকরি বলিদান দিয়ে দিল। এর জন্য দায়ী হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার আজকে রাস্তায় বসে গেল এর জন্য যদি কেউ দায়ী থাকে সে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর চ্যালাচামুণ্ডা, যারা লাখ লাখ টাকা নিয়ে, এই ২৬ হাজারের মধ্যে থেকে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে। '






















