(Source: Poll of Polls)
SSC Agitation: হাজরায় এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, আহত দুই আন্দোলনকারী
SSC: শতাধিক চাকরিপ্রার্থী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএসসির নিয়োগের দাবিতে আজকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: হাজরা মোড়ে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির দিকে যাওয়ার পথেই বিক্ষোভকারীদের (SSC Agitation) আটকে দিল পুলিশ। শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।
হাজরায় এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি-
জানা গিয়েছে, শতাধিক চাকরিপ্রার্থী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএসসির নিয়োগের দাবিতে আজকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল। কার্যত পুলিশকে অস্বস্তির মধ্যে রেখেই তাঁরা হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে অভিযান শুরু করে। সেই সময় হাজরা মোড়ে যে পুলিশকর্মীরা ছিলেন, তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের আটকে দেন। মিছিল আটকে দিলেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার লেগে যায়। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার পর দলে দলে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা আসতে শুরু করেন হাজরা মোড়ে।
আরও পড়ুন - Calcutta University: অনলাইন নাকি অফলাইন, কীভাবে হবে পরীক্ষা? জানিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়, তখন বিক্ষোভকারীরা রাস্তার উপরই শুয়ে পড়তে থাকেন। জানা যাচ্ছে, সেখানে যত সংখ্যক প্রিজন ভ্যান নিয়ে আসা হয়েছিল, তাতে বিক্ষোভকারীদের তুলতে গিয়ে ভ্যান কম পড়ে যায়। এরপরই পথচলতি বাসগুলিকে দাঁড় করাতে শুরু করে পুলিশ। তার মধ্যে একটি বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সেই বাসে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এভাবেই অবরোধ করা রাস্তা খালি করতে থাকে পুলিশ। প্রায় আধঘণ্টা এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলতে থাকে। জানা যাচ্ছে, যাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুজন আহত হয়েছেন। দেখা যায়, একজন বিক্ষোভকারীর নাক থেকে রক্ত পড়ছে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া আরও এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত থাকে। ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু হয়।