SSC Protest : মেয়ের কিডনির অসুখ, রয়েছে দুই বোন-ঝির দায়িত্ব, 'কীকরে বাঁচিয়ে রাখব?' আর্তনাদ চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীর
সুষমা মজুমদার। মুর্শিদাবাদের বিনোদ জুনিয়র ফর গার্লস স্কুলের এই অশিক্ষক কর্মী। মেয়ে কিডনির সমস্যায় ভুগছে।

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : চাকরি নেই। নেই আলোর কোনও দিশা। আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি, পথে নেমেছেন তাঁরাও। সোমবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে আলাদা করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাজ্য সরকার ও SSC-র বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীরা। এঁদেরই একজন সুষমা মজুমদার। মুর্শিদাবাদের বিনোদ জুনিয়র ফর গার্লস স্কুলের এই অশিক্ষক কর্মী।
মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন ইনি। চাকরি হারিয়ে কার্যত পথে বসেছেন এই অশিক্ষক কর্মী। বলছেন, চাকরি গেলে খাব কী? জানালেন, মেয়ে কিডনির সমস্যায় ভুগছে। প্রতি মাসে চিকিৎসার খরচ বিশাল। নিয়মিল চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হয়। ডাক্তারের ফি থেকে চিকিৎসার খরচ, কোনওটাই সম্ভব নয়, বেতন বন্ধ হয়ে গেলে। বাঁচবে কী করে মেয়েটা ? ডুকরে ডুকরে উঠছেন চাকরি-হারানো মা।
সুষমা মজুমদার জানালেন, মাসে খরচ ১০-১২ হাজার টাকা। শুধু মেয়ে নয়, তাঁর দিদি মারা যাওয়ায় দুই বোনঝিও তাঁর কাছেই থাকে। দুই বোন-ঝির ভরনপোষণের দায়িত্ব নেয় না পরিবার। তাই ভরসা মাসিই। সেই মাসিই একদিনে চাকরিহারা। বেরোজগার। কী ভাবে সংসার চালাবেন, বুঝেই উঠতে পারছেন না ।
মঙ্গলবার করুণাময়ীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরি ফেরতের দাবিতে গতকাল সন্ধে ৭টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন অশিক্ষক কর্মী। বাইরে অবস্থান করছেন চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D কর্মীরা। চাকরিহারাদের অভিযোগ, অযোগ্যদের বাঁচানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। যোগ্যদের বেতন দেওয়ার কথা বললে কেন তালিকা প্রকাশ নয়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই অবস্থায়, তাঁদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়ে বললেন, 'যারা চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে, তাদের উপর ভরসা করুন। আর যারা আগামী দিনে ফিরিয়ে দিতে পারে, তাদের উপর ভরসা করুন। আইনে মনে রাখবেন, আইনও যেমন আছে, আইন আবার পথও খুলে দেয়। সুতরাং আপনাদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।'.
সোমবার বিক্ষোভ শিক্ষাকর্মীরা প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কেন শুধু চাকরিহারা শিক্ষকদের ফেরাতে সওয়াল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন? স্কুলে কি অশিক্ষক কর্মীদের প্রয়োজন হয় না? তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন? এর পাশাপাশি, চাকরিহারা শিক্ষকদের মতো তাঁরাও যোগ্য অশিক্ষক কর্মীদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।






















