SSC Protest : 'দড়ি ধরে মারো টান...' উঠছে স্লোগান, অবরুদ্ধ SSC ভবনে চা-ও ঢুকতে দিলেন না আন্দোলনকারীরা, সকালেও অশান্তি
রাতভর কমিশনের দফতরেই আটকে রয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান ও আরও কয়েকজন।

সৌমিত্র রায়, কলকাতা : সারা রাত হয়েছে বিক্ষোভ। রাত যত বেড়েছে, বেড়েছে আন্দোলনের উত্তাপ। এসএসসি অফিস ঘেরাও করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রবল বিরোধিকার মুখে পিছু হঠেছেন পুলিশ কর্মীরাও। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, ডেডলাইন, সবই কথার কথা হয়ে থেকে গিয়েছে। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেনি এসএসসি সোমবার। আর তারপরই ক্ষোভ ওঠে চরমে। দাবি আদায়ে রাতভর ঘেরাও করে রাখেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। রাতভর কমিশনের দফতরেই আটকে রয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান ও আরও কয়েকজন।
সকালেও উত্তেজনা :
মঙ্গলবার সকালেও পরিস্থিতিতে পরিবর্তন হয়নি। এসএসসি ভবনের সামনে এখনও অবস্থানেই চাকরিহারা শিক্ষকরা। এরই মধ্যে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় এসএসসি ভবনের সামনে। বিষয়টি কী ? দেখা যায় এক ব্যক্তি চা, ভাঁড় ও বিস্কিট নিয়ে ঢুকছেন এসএসসি অফিসের মধ্যে। সেখানেই রয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। চা-সহ ব্যক্তিকে দেখেই তেলেবেগুনে চটে যান আন্দোলনকারীরা। তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, কেড়ে নেওয়া হয় বিস্কিটের প্যাকেট। টানাটানিতে মাটিতে পড়ে যায় চায়ের ভাঁড় । সেই ভাঁড় এখন ছড়িয়ে ছিটে পড়ে রয়েছে রাস্তায়।
শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস :
এরই মধ্যে সোমবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, 'যারা যোগ্য বঞ্চিত শিক্ষক, তাঁরা সময়মতোই বেতন পাবেন'। বেতন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মনে। তাঁদেরকেই শিক্ষামন্ত্রী জানান, 'এসএসসি বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই চলবে। আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছি'। তিনি জানান, 'এখানে জলঘোলা করার কোনও ব্যাপার নেই। আইনজ্ঞদের অনুমতি না মেলাতেই তালিকা প্রকাশিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেই তালিকা প্রকাশিত হবে' রিভিউ পিটিশন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করার বার্তা দেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যদিও মেনে নিতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। বলছেন, 'অযোগ্যদের বাঁচানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। যোগ্যদের বেতন দেওয়ার কথা বললে কেন তালিকা প্রকাশ নয়'
এই পরিস্থিতিতে SSC চেয়ারম্যানও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, 'যারা ক্লাস নিচ্ছেন, সেই শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী বেতন পাবেন'। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরিহারাদের বিক্ষোভের মধ্যেই মধ্যরাতে এই বিবৃতি দেয় কমিশন।






















