Recruitment Scam: অত্যন্ত প্রভাবশালীর কাছে অয়ন পাঠিয়েছিলেন ২৬ কোটি! ম্যারাথন জেরায় মিলল আরও ১৫ জনের নাম
SSC Scam: স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল। তার মধ্যে ২৬ কোটি টাকাই পৌঁছে গেছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ব্যক্তির কাছে।
প্রকাশ সিনহা, অনির্বাণ বিশ্বাস ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: অয়ন শীলকে (Ayan Sil) জেরা করে অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গেছে। তার মধ্যে অত্যন্ত এক প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে গেছিল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) ২৬ কোটি টাকা! আজ আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া অয়ন শীলের সম্পত্তিরও খতিয়ানও এদিন আদালতে দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিনের শুনানিতে উঠে আসে কবিগুরুর (Rabindranath Tagore) প্রসঙ্গও।
স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল। তার মধ্যে ২৬ কোটি টাকাই পৌঁছে গেছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ব্যক্তির কাছে। অয়ন শীলকে জেরা করে অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গেছে। শনিবার বিশেষ ইডি আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।
হেফাজতের মেয়াদ শেষের পর, এদিন আদালতে তোলা হয়েছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। সেখানে সওয়াল জবাব চলাকালীন, উঠে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গও।
ইডির আইনজীবী দাবি করেন, অয়ন শীলের দুর্নীতির দুটি অংশ রয়েছে। একটা হল শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি এবং অপরটি হল পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি। SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে ১ হাজার জনের থেকে মোট ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। তার মধ্যে ২৬ কোটি টাকা অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ব্যক্তির কাছে এজেন্টের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তির নাম কেস ডায়েরিতে রয়েছে। প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়।
ইডির আইনজীবী আরও জানান, SSC দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অয়ন শীলের থেকে ১ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করেছেন কুন্তল ঘোষ। আদালতে এদিন অয়ন শীলের সম্পত্তি নিয়েও একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। আইনজীবী বলেন, অয়ন শীলের ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময়ে ৮ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে। এছাড়াও অয়ন শীলের ৮টি ফ্ল্যাট, ৫টি গাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প ও একটি হোটেল রয়েছে তাঁর।
অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে ইডির তল্লাশি চালানোর সময় বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার হয়। ইডির দাবি, রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অয়ন শীল। কীভাবে OMR শিট বিকৃত করা হত, তাও এদিন আদালতে জানান ইডির আইনজীবী।
এদিন অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।