Teacher's Protest : চাকরি ফেরত চেয়ে ঠাঁই প্রিজন ভ্যানে, টেনেহিঁচড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক থেকে সরাচ্ছে পুলিশ
আটক করা হয় চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলকে। পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান শিক্ষিকা, ঝরে রক্ত।

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : চাকরিহারা শিক্ষকদের ঘোষিত অর্ধনগ্ন মিছিল শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুক্রবার অতিসক্রিয় ছিল পুলিশ। সকাল ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ চত্বর থেকে চাকরিহারাদের অর্ধনগ্ন মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিল শুরু আগেই পুলিশের ধড়পাকড় শুরু হয়ে যায়। এরপর ধর্মতলা থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা হলে সেখানেও পুলিশ আটক করা শুরু করে। এরপর সেন্ট্রাল পার্কে , যেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি পেয়েছিলেন চাকরিহারারা, সেখানেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন প্রতিবাদীরা। তখনই কার্যত রণং দেহি মূর্তি নেয় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় তাঁদের প্রিজন ভ্যানে। প্রতিবাদের অধিকার কেন খর্ব করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারারা। কিন্তু সেসব উত্তর না দিয়ে সোজা তাঁদের আটক করা হয়।
শিয়ালদা রেল স্টেশন থেকে শুরু করে শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। পুলিশ চাকরিহারাদের বাধা দিতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে চাকরিহারাদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। মেট্রো স্টেশন থেকে বাসস্টপ খুঁজে-খুঁজে একের পর এক চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের টেনেহিঁচড়ে, আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করে পুলিশ। ধর্মতলাতেও ছবিটা ছিল একই রকম । সেখান থেকে আটক করা হয় চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলকে। পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান শিক্ষিকা, ঝরে রক্ত।
এরপর সেন্ট্রাল পার্কে অর্ধনগ্ন মিছিল শুরু করার চেষ্টা করলে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে চাকরিহারাদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। রক্তাক্ত হন চাকরিহারা শিক্ষকরা। পুলিশের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, আদালতের নির্দেশে তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতেই পারেন। কিন্তু সর্বসমক্ষে, পাবলিক প্লেসে, এভাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন মেনে নেবে না পুলিশ। পরিষ্কার জানালেন বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার।





















