SSKM Hospital: SSKM-এ কর্মী সেজে মহিলা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকলেন 'মত্ত' বহিরাগত, চিকিৎসদেরও অকথ্য ভাষায় আক্রমণ!
SSKM-এর মহিলা ওয়ার্ডের ভিতর ফের বহিরাগত। শুধু বহিরাগতই নয়, রীতিমতো মত্ত অবস্থায় হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে পাওয়া যায় তাঁকে।

কলকাতা: গতবছর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এক বছরেরও বেশি সময় পর, একের পর এক হাসপাতাল থেকে উঠছে নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ১৫ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। এসএসকেএম হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক ওয়ার্ড বয় যিনি পরে এনআরএস হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এক মাসের মধ্যে সেই SSKM হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
SSKM-এর মহিলা ওয়ার্ডের ভিতর ফের বহিরাগত। শুধু বহিরাগতই নয়, রীতিমতো মত্ত অবস্থায় হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে পাওয়া যায় তাঁকে। নিজেকে হাসপাতাল কর্মী বলে পরিচয়ে ওই ব্যক্তি ঢোকে মহিলা ওয়ার্ডে, এমনটাই সূত্রের খবর। মেন ব্লকের কেবল ওয়ার্ডে ঢুকেছিল ওই বহিরাগত।
জানা গিয়েছে, গতকাল বেলার দিকে ওয়ার্ডে ওই বহিরাগতর অস্তিত্ব টের পান ওয়ার্ডের নার্সরা। ওই ব্যক্তিকে তাঁরা চেনেন না, ফলে ওয়ার্ডে দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় তাঁদের। বহিরাগত মত্ত অবস্থায় ঢুকে পড়েছিল ওয়ার্ডে। এদিকে, এরপর সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই ব্যক্তি বলেন তিনি পুরসভার কর্মী। সব মিলিয়ে রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।
হাসপাতাল সূত্রে এও বলা হয়, প্রথমে নার্সদের সঙ্গেও অভব্য ব্যবহার করেন। পরে মহিলা চিকিৎসকদের হুমকি, কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর গ্রেফতার। গ্রেফতার করল ভবানীপুর থানার পুলিশ, পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান ওই ব্যক্তি।
ধৃত অম্বর রায় চৌধুরী কলকাতা পুরসভার কর্মী, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। চিকিৎসাধীন মাকে দেখতে এসেছিলেন অম্বর রায় চৌধুরী, পুলিশ সূত্রে খবর।
এর আগে ২৩ অক্টোবর SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল NRS-এর বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে। মা ও দাদুর সঙ্গে SSKM-এর সাইক্রিয়াটিক ডিপার্টমেন্টের আউটডোরে আসে নাবালিকা। মেয়েকে দাদুর কাছে রেখে টিকিট করাতে যান মা। সেখানে আসে NRS মেডিক্য়াল কলেজের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী অমিত মল্লিক। নিজেকে অমিত মল্লিক পরিচয় দেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তারপর ট্রমা কেয়ারের চিকিৎসকের জন্য ব্যবহৃত শৌচাগারে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়।
উল্লেখ্য, গতবছর আর জি করের ঘটনার ১০ দিনের মাথায় রাজ্য সরকারের তরফে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে জারি হয়েছিল একাধিক নির্দেশিকা। যার মধ্যে স্পষ্ট লেখা ছিল, ফ্যাকাল্টি, স্টাফ, নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য আইডেন্টিটি কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসএসকেএম-এর ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কোথায় আইডেন্টিটি কার্ড? কোথায় কী?






















